সময় গেলে সাধন হবে না (ধারাবাহিক জীবন কাহিনী)
৪
শাওনের মনে হয় যারা ১৯৭০ সালের আগে জন্মেছে তারা বিশেষ ভাগ্যবান আজকের পৃথিবীতে।
কেন?
তারা প্রযুক্তির ব্যবহার জানে এবং উপভোগ করে!!!
কিন্তু তারা কখনও জানায়ারের মতো বইয়ের পাহাড় মাথায় করে স্কুলে যায়নি।
তাদের মা-বাবাকে কখনো তাদের পড়াশুনোর চিন্তায় নিজেদের জীবন ব্যতিব্যস্ত করতে হয়নি।
স্কুলের পরেও সূর্যাস্ত পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে খেলতো প্রাণ খুলে..
তারা জীবন কাটাতো প্রাকৃতিক বন্ধুদের সাথে. নেট ফ্রেন্ডদের সাথে নয়।
যখন তাদের পানি পিপাসা পেতো, মন খুলে কল থেকে পানি পান করতো, জীবাণুর ভয়ে পিউর আ্ইটি থেকে নয়..
তাও তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে নি।তারা এক টাকার আইক্রিম চারজনে ভাগ করে খেয়েও পেটে অসুখ হয়নি।
তারা প্রতিদিন পেট ভরে ভাত আর প্রাণ খুলে মিষ্টি খেয়েও মোটা হয়ে যায়নি।খালি পায়ে ফুটবল খেলা স্বত্বেও পা ভেঙে ফেলেনি তারা। সুস্থ থাকার জন্য কখনও রিভাইটাল প্রয়োজন হয়নি তাদের।খেলনা তারা নিজেরাই বানিয়ে ফেলতো। মা-বাবার কাছে থেকেই তারা মানুষ হয়েছে কোনো মেনটর দরকার হয়নি।
তারা সবাই ভাইবোনেরা একইরকম জামাকাপড় পরে মজা পেতো, কমোন বলে নয়, এক রকম হবার আনন্দে।
শরীর খারাপ হলে, ওসুখ হলে, ডাক্তার তাদের কাছে আসতো, তারা ঐ অবস্থায় যেতো না।তাদের কাছে মোবাইল, ডিভিডি, প্লে স্টেশন, পিসি, ইন্টারনেট চেটিং ছিল না। কারণ এদের কাছে ছিল সত্যিকারের বন্ধু।বন্ধুকে না জানিয়ে তার ঘরে গিয়ে একসাথে খাওয়াদাওয়া করে তারা মজা পেতো। কখনো ফোন করে সময় নিতে হয়নি।
তাই তারা হচ্ছে এবং ছিল,
‘They are not special. but they are fortunate and enjoying generation.’
তখনকার ঢাকা ছিল অন্যরকম। এতো লোকজন ছিল না। এত শত, হাজার হাজার গাড়ি তখন ছিল না। রিকসা আর বেবি টেকসি ছিল মধ্যবিত্তের আয়েসীবাহন। ঢাকার রাস্তায় তখন বনেদী গাড়ি ছিল জার্মানীর বানানো ভকসওয়াগন। এক দরজাওয়ালা গাড়ি। এখন তা আর চোখেই পড়ে না। আজকাল যে বাসকে ’মুড়ির টিন বলা হয় তা চলতো মতিঝিলের রাস্তায়।মতিঝিল আর ধানমন্ডী ছিল ঢাকার প্রাণের উৎস। (চলবে)