পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ
টংকাবতীতে সবে ভোর হয়েছে। সকালের ভ্রমণকারীরা একে একে ঘরে ফিরছেন। শীতের সকালের কুয়াশা তখনও কাটেনি। ঘুম ঘুম চোখে নাহিদ তখনও বিছানায় বসা। হঠাৎ তার খেয়াল হলো প্রফেসর রব্বানীকে খবর পাঠানো হলেও তিনি আজও এসে পৌঁছেননি। অবজারভেটরির প্রোগ্রামার এসে বললো যে, ঢাকা থেকে যে ই মেল এসেছে তাতে বলা হয়েছে, প্রফেসর রব্বানী হিরন পয়েন্টে আছেন। শীঘ্র তিনি ফিরবেন। এ অবস্থায় সামগ্রিক অবস্থা মনিটরিং করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
ঘড়িতে আটটা বেজে দশ। জোসেফ তার প্রাত্যহিক ভ্রমণ শেষে ফিরে আসে। দুজনে মিলে ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে ঢাকা থেকে আসা ই মেলের বিষয়ে আলাপ করে।
জোসেফ বলে, দোস্ত, আমার মনে হয় ভারতীয় রেডিও টেলিস্কোপিক কোনো গ-গোলে এমন উল্টোপাল্টা সিগন্যাল আসছে। তোর কি মনে হয় বলতো?
নাহিদ উত্তর দেয় জানি না। আসলে পুরো ব্যাপারটিই আমার কাছে ভালো লাগছে না। কম্পিউটার বিশ্লেষণেও তেমন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। তবে রেডিও টেলিস্কোপিক সিগন্যালগুলো প্রাকৃতিক কোনো অস্থিরতা নয়। ইউনিভার্সের বুদ্ধিমান কোনো প্রাণীই এমন সিগন্যাল পাঠাচ্ছে। তবে এই সিগন্যাল ডিকোড করার প্রোগ্রাম আমাদের অবজারভেটরির কম্পিটারের নেই। তবু প্রফেসর রব্বানী সময় মতো আসলে একটি সমাধান নিশচয়ই পাওয়া যাবে।
জোসেফ তার মাথা আপন মনে দোলাতে দোলাতে বলে, গতকাল তো আমি তোর সঙ্গে অবজারভেটরিতে যাইনি। কেমন পরিস্থিতি ছিল গতকাল?
মৃদু ধরনের তরঙ্গ আঘাত হেনেছে গতকাল। নাহিদ বলে।
তবে গতকাল অবস্থা যাই থাকুক না কেন, জানবি এটি প্রচন্ড ঝড়ের পূর্বাভাস মাত্র। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বড় কিছু ঘটতে চলেছে। (চলবে)