কাক কাহিনী
দশম পর্ব
নিলয়দের বাসার সামনের ছাদে বিকেলবেলা কাকদের সভা বসেছে। দেখে মনে হয় জরুরি সভা জাতীয় কিছু চলছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য প্রমাণ পেয়েছেন নিজেদের মধ্যে কাকেরা একধরনের যোগাযোগ করে, ভাব বিনিময় করে- মুখ দিয়ে বিভিন্ন ছন্দের শব্দ করা, বসার ভঙ্গিমা আর পায়ের মাধ্যমে।
তুলতুল এদের মধ্যে আঝে কি‘না নিলয় তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে না। চোখে তাই বাইনোকুলার লাগায়। দেখে যেন অবাক হয় নিলয়। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে হতে চায় না। তুলতুল সবগুলো কাকের মাঝখানে বসা। অন্যান্য কাকগুলো তাকে চর্তুদিকে ঘিরে বসেছে। সবাই যেন একমনে তুলতুলকে নিয়ে ধ্যানে বসেছে। তুলতুল যেন এ এলাকার কাকদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে!
ঢাকা শহরের দূষণপূর্ণ পরিবেশে কাকেরা কিভাবে হাজারে হাজারে টিকে আছে ভাবতে গেলেই তো অবাক লাগে নিলয়ের। সে ভাবে তুলতুল কি আসলেই কোন বিশেষ প্রজাতির কাক? আর দু‘দিন পরেই পৃথিবীর সাতজন সেরা পাখি বিশেষজ্ঞ আসছেন ঢাকায়। সামনাসামনি তুলতুলকে তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু তুলতুল কি তা জানে?
তুলতুলকে কি ধরে ল্যাবরেটরির কৃত্রিম পরিবেশে নেওয়া সম্ভবপর হবে? না‘কি নিলয়ের মাইক্রো রেকর্ডারে রেকর্ড হওয়া কথাবার্তা শুনেই বিশেষজ্ঞরা তুলতুল সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন? তুলতুলইবা কোন কথা বলে তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্বের খ্যাতিমান এসব পাখি বিশেষজ্ঞদের! নিলয় মনে মনে খুব উত্তেজনা অনুভব করে। (চলবে)