তৃতীয় পর্ব
“যে নিজেকে জানে.....
এবং শক্রকে জানে
তার বিজয় হবে পরিপূর্ণ ”- সুন জি
মুখে প্রচন্ড বিরক্তির ভাব নিয়ে কাজ করছিল জাফর। জাফর সিদ্দিকি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের টুরিস্ট অফিসার। গতকাল থেকে লিন্ডা গ্রে নামের এক জার্মান মহিলা একজন ভালো গাইড চাইছে গোটা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার জন্যে। কিন্তু তেমন কাউকেই এ সময়টা ফ্রি পাচ্ছে না জাফর। অথচ একজন গাইড দেয়া না গেলে পুরো ব্যাপারটি প্রেসটিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
আসতে পারি? ঘরের দরজায় দাঁড়ানো লোকটির পানে তাকিয়ে এতো টেনশন আর বিরক্তির মধ্যেও জাফর না হেসে পারে না।
-আরে আয় আয়। তারপর হঠাৎ কোথা থেকে শ্রীমানের আগমন?
-আর বলিস না, একমাস হলো চাকরিটা ছেড়েছি। কিচ্ছু ভালোলাগছে না। ভাবলাম তোর অফিসে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাই।
-চা খাবি?
-কেন ভাই চা খাওয়াবি। কফি কি দোষ করলো?
-তুই চিরকালই একটি চিজ বটে! দাঁড়া পিয়নটাকে কফির ডাকি আগে। পিয়নকে কফির অর্ডার দিয়ে জাফর জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বন্ধু পারভেজের দিকে তাকায়।
-তারপর, কি যেন বলছিলি?
-বলছিলাম, হাতে কোন কাজটাজ নেই। একটা কাজ দে।
-তোকে কাজ দিয়ে কি লাভ বল? কোন কাজে মন বসে তোর?
-খুব বিরক্তি মনে হয় আমার ওপর তোর?
-তা’ নয় তো কি! গত এক বছরে চাকরি ছাড়লি ক’টি সে খেয়াল আছে?
পিয়নটি ততক্ষণে কফি নিয়ে আসে। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে জাফরের খেয়াল হয় লিন্ডা গ্রে’র কথা। গাইড দরকার। আচ্ছা, পারভেজ পারবে না এই কাজটি? জিজ্ঞেস করেই দেখা যাক।
-গাইডের কাজ করবি?
-সেটা কি রকম?
-বলছি শোন, জার্মান একটি মেয়ে বাংলাদেশে এসেছে। একজন গাইড চায়। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় নিয়ে যেতে দক্ষ এমন একজন গাইড দরকার।
-প্রস্তাবটি একটু অদ্ভুত ধরণের। তাই না? নামটিও ছন্দময় লিন্ডা গ্রে!
-তা,বৈকি! পর্যটন এলাকার বাইরেও যেতে চাইছে, তাই না?
-ঠিক তাই।
এক কাজ কর গাইডের কাজটা বরং তুই নিজে কর। আর তা’হলে লিন্ডার বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্যটাও জানা যাবে।
পারভেজ বলে আইডিয়াটি খারাপ নয় দোস্ত। তা তোর সেই লিন্ডা আজ আসবে না’কি?
আসার তো কথা। দেখা যাক অপেক্ষা করে। তোর তো হাতে কোন কাজ আপাতত নেই বলছিস। সো আড্ডা মারো আর অপেক্ষা করো।
বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় না। লিন্ডা গ্রে আধা ঘন্টার মধ্যেই এসে হাজির হয়। পারভেজের সঙ্গে লিন্ডার পরিচয় করিয়ে দেয় জাফর। লিন্ডার ভাবে মনে হয় সে একটুও সময় নষ্ট করতে চাচ্ছে না। আজই যেন সে গোটা বাংলাদেশ ঘুরে ফেলতে চাচ্ছে। লিন্ডার হাবভাবে পারভেজ বেশ অবাক হয়। বিদেশী মানুষ সম্পর্কে পারভেজের কৌতূহল চিরকালই একটু অন্যরকম। আর সে যদি বিদেশীনী হয় তো কৌতূহল যেন আরও তীব্র হয়। নিজের ছোটবেলার কথা পারভেজের ঠিক মনে পড়ে না। যখন থেকে জ্ঞান হয়েছে, বুঝতে শিখেছে, দেখেছে তার মা একজন বিদেশী, দেখেছে তার মায়ের গায়ের রঙের সঙ্গে, মুখের আদলের সঙ্গে তার নিজের কোন মিল নেই। চরম সত্যটি জেনেছে যখন তার বয়স আঠারো-উনিশ বছর তখন।......
বাংলাদেশ তখন সবে স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে লক্ষ লক্ষ বাঙালি মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছিলেন। স্বাধীন দেশের নতুন সরকার এসব মেয়েদের অ্যাখ্যায়িত করলেন ‘বীরাঙ্গনা’ হিসেবে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল ‘বীরাঙ্গনা’ মায়ের সন্তান প্রতিপালনে। তখন ১৯৭২ সালের প্রেসিডেন্ট অর্ডার নং ১২ তে বাংলাদেশ অ্যাবানডান চিলড্রেন অ্যাক্ট (স্পেশাল) জারি করা হয়। এই আইনের আওতায় আন্তর্জাতিক ভাবে কোটাওয়ারি ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার পরিত্যক্ত শিশু বিদেশী প্রতিপালকের হাতে পৌঁছায়।
তেমনি এক পরিত্যক্ত শিশু ছিল পারভেজ। তার প্রতিপালক মা ছিলেন একজন সুইডিশ মহিলা। নাম জেনিফার ক্যাথেরিন। তিনি বিবাহিত হলেও তার কোন সন্তান ছিল না। পরে স্বামী রবিন্স এর সঙ্গে তাঁর ডির্ভোস হয়ে যায়। এই ক্যাথেরিনের সঙ্গে সুইডেনের স্টকহোমে এক বাঙালি যুবকের পরিচয় হয় ১৯৭৪ সালে। পরে এই বাঙালি যুবক জোবায়ের ক্যাথেরিনকে বিয়ে করে। পারভেজের বাংলা শেখা এই সূত্র ধরেই। আজও জোবায়েরকে পারভেজ “বাবা” বলেই ডাকে। কিন্তু একটা সময় পারভেজের পক্ষে আর সুইডেনে থাকতে ভালোলাগে না। যাঁর নাড়ীর টান বাংলাদেশে- সে কিভাবে সুইডেন থাকে। একদিন পারভেজ বাংলাদেশে ফিরে আসে।
বিশ- একুশ বছরের এই তরুণ পারভেজ তার মাকে খুঁজে ফেরে। তার মায়ের তো কোন দোষ ছিল না। মায়ের মুখটি একটিবার দেখার ভীষণ শখ পারভেজের। ঢাকায় ভার্সিটিতে পড়ালেখা করলো পারভেজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কোন কিছুই আর ভালোলাগে না। এ ভাবে ছন্নছাড়া হয়েই সে ঘুরে বেড়ায়। পৃথিবীর অনেক কিছু এখন বোঝে পারভেজ। শুধু বোঝে না, বুঝতে চায় না, তার ‘মা’ থেকেও নেই। আর তাই সে- ভালোবাসার ভীষণ কাঙাল।
সবাই বাইরেরটা দেখে। ভাবে পারভেজ হয়তো খুব সুখী। কিন্তু পারভেজ তো জানে তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। রাতের বেলা ঘুম যেন কোথায় পালিয়ে যায়। এভাবে দিন দিন, প্রতিদিন। প্রতিটি রাত যায়। কিন্তু তবু সমাধান মেলে না।
মাঝে কিছুদিনের জন্যে এক বন্ধুর গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল পারভেজ। সেখানেও একই অবস্থা। একটুও শান্তি পায়নি মনে। গ্রামের নাম পলাশ। বন্ধুর নাম অপু। গ্রামে নিয়ে গিয়ে অপু চেয়েছিল পারভেজের মনের কষ্টটা কিছুদিনের জন্যে হলেও ভুলিয়ে রাখতে। কিন্তু হাস্নাহানার ঝোপের পাশে চুপি চুপি রাত নেমে এসেছে। সীমাহীন ভাবনার জগতে ভাসতে ভাসতে সহসাই পারভেজ সচকিত হয়েছে দূরগামী শেয়ালের তীক্ষ্ণ কান্নায়। বন বাদাড়ে জোনাক জ্বলছে মিটিমিটি। পাতায় পাতায় মৃদু হাওয়ায় দুলছে নরম আলোর জ্যোস্না। পারভেজ একা হলেই নিজের কাছে নতজানু মানুষ- বরফের মতো, ঘাসের মতো, মোমের মতো গলতে গলতে বলে- ক্ষমা করো। জ্যোস্নার মতো আমি গলে গলে ধূসর অন্ধকার হচ্ছি। সত্ত্বার গভীর হতে আরও গভীরে ডুবছি। রাতের প্রহর গড়াচ্ছে। আমি ডুবছি। এগিয়ে আসছে ভয়ের হিমশীতল ছোবল। সেই ভয়াবহ রাত আবারও ডাকছে পারভেজকে। কে তার মা? কেমন তার চেহারা। কেমন দেখতে তিনি। কোথায় রয়েছেন তিনি এখন। কেমন দেখতে ছিলেন তার মা? এ সবই পারভেজের জানতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ভেবে ভেবে কোন ক‚ল কিনারা করতে পারে না পারভেজ। শেষে ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব নারী পুর্নবাসন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে শুরু করে। কিন্তু কোথাও আশার আলো দেখতে পায় না পারভেজ।
ক্রমে অস্থিরতা বাড়তে থাকে পারভেজের মনে। মনে তার অনেক প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর তাকে কে দেবে? রাজনৈতিক নেতারা তো কখনও কোন প্রশ্নের উত্তর দেন না। বরং তারা যেকোন উপায়ে হোক সত্যকে অস্বীকার করতে চান। পাকিস্তানের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো তো বলেই দিয়েছেন যে, ‘৭১ সালে বাংলাদেশে কোন মেয়ে ধর্ষিত হয়নি। কি নির্লজ্জ কথা অনায়াসে বলে ফেলল পাকিস্তানীরা। মাঝে মাঝে পারভেজের মনে হয় পৃথিবী যেন সেই রাজা- বাদশার যুগেই রয়ে গেছে। দেশের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মত দেশটি চালায়। দেশের মানুষের কি ক্ষতি হল, কষ্ট হল তা তারা কোনদিনও গ্রাহ্যের মধ্যে আনতে চান না।
অন্ধকার বারান্দায় বসে পারভেজ। একা। চারদিক ঢেকে মাঝরাত এখন। দূরের কোন বাড়িতে আলো জ্বলে ওঠে। আবার একসময় নিভেও যায়। হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস লাগে গায়ে। কোথাও বুঝিবা বৃষ্টি হচ্ছে। সুখী মানুষেরা না’কি নিশ্চিন্তে ঘুমায়। স্বপ্ন দেখে। ভালোবাসে। তা’হলে পারভেজ কেন স্বপ্ন দেখতে পারে না। কেন তার সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়। হঠাৎ পারভেজের ইচ্ছা করে সব কিছু ভেঙে চুরমার করে দিতে। মাথায় প্রচন্ড একটা ব্যথা অনুভব করে সে। মনে হয় সময় তার দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পায় না পারভেজ। প্রচন্ড একটা কষ্ট তাকে কুুঁড়ে কুঁড়ে খায়। তার ভয় অনিত্যতার; ভয় চরম নিরাপত্তাহীনতার।
আজকাল পারভেজের মাঝে মাঝে একটা অদ্ভূত কথা মনে হয়। একটা পাঞ্জাবী অফিসার অথবা সেপাহী শুধুমাত্র জাতিগত ক্রোধে, ভোগের আকাক্সক্ষায় একটি বাঙালি মেয়েকে ভোগ করেছে আর সেই নিদারুণ অত্যাচারের স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে আছে পারভেজের মত লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে। অথচ তাদের কথা তো কেউ মনে রাখে নি।
ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ালেখার সময় নিজের বাবার নামের ঘরে পারভেজকে লিখতে হয়েছে জোবায়েরের নাম। বন্ধু- বান্ধবীরা কেউ জানে না পারভেজের আসল পরিচয় কি! সুদর্শন চেহারার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনেক মেয়েই পারভেজের ঘনিষ্ট সান্নিধ্যে আসতে চেয়েছে। কিন্তু যে মুহূর্তে পারভেজ বুঝেছে ব্যাপারটি ভিন্নখাতে গড়াচ্ছে অমনি সে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। মেয়েরা তাকে অহংকারী, স্বার্থপর আর ধনী বাবা-মা’র সন্তান হিসেবে কটাক্ষ করেছে। কিন্তু পারভেজ তাদের কাউকেই বলতে পারে নি যে, সে মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ ফসল, তার মা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ‘বীরাঙ্গনা’ নন।
পারভেজের ভাবনায় এসে ধরা দেয় সেই পাকিস্তানী পাঞ্জাবী সেনা অফিসার। যিনি আজও পৃথিবীর মানুষের সাধারণ ক্ষমার মহিমায় হয়তোবা পাকিস্তানে তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে আনন্দেই বেঁচে রয়েছেন।
তিনি তো জানেন না তার পুত্রের মত আর একজন পৃথিবীর অন্য প্রান্তে তার হিংসা- লালসা আর কামনার ফসল হিসেবে পরিচয়হীন এক ঘৃণ্য জীবনযাপন করছে। যদি জানতেন, যদিবা বুঝতেন তা’হলে কি তিনি পারভেজকে নিজ সন্তান হিসেবে বুকে টেনে নিতে পারতেন? না’কি পারভেজ তাকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে পারতো? এই গোলক ধাঁধার কোন উত্তর আছে কি?
বছর তিনেক আগে কানাডায় দু’জন বাঙালি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পারভেজের। দু’জনের একজন ফাস্ট ফুড শপে এবং অন্যজন পেট্রল পাম্পে কাজ করে। আলাপের এক পর্যায়ে মেয়েদুটি জানায় তারা ’৭১ সালে বাংলাদেশে হানাদার পাক বাহিনীর নির্যাতনের ফসল যুদ্ধ শিশু। তবে কানাডায় কেউ তাদের অসম্মান করে না। বরং অদ্ভূত এক শ্রদ্ধাবোধ তাদের প্রতি সবার। নিজ দেশেও তারা এতো শ্রদ্ধা এবং সম্মান পেতো কি?
পারভেজ পরিচয়হীন একজন মানুষ। দুনিয়ায় বাবার পরিচয়টা বিশাল কোন ব্যাপার কি? কেন পারভেজ এ পৃথিবীতে এলো। সেতো আসতে চায়নি। আসলেই কি কেউ আসতে চায়? প্রায় সবার ক্ষেত্রেই পৃথিবীতে আগমন ঘটে দু’জন মানুষের ভালোবাসা থেকে। শুধু পারভেজ এই পৃথিবেিত এসেছে ঘৃণা থেকে, ক্রোধ থেকে, প্রতিহিংসাপরায়ণতা থেকে।
পারভেজের বাবা (সমাজ স্বীকৃত নয়) এমন একজন মানুষ যিনি শুধুমাত্র তার মায়ের দেহটাকে হিংস্র পশুত্ব নিয়ে ব্যবহার করেছেন। ক্রোধে তাকে ছিন্নভিন্ন করেছেন কিন্তু মানুষ হিসাবে কখনই তাকে ভালোবাসেন নি। বাসার কথাও নয়। পাকিস্তানীরা এদেশ জয় করতে এসেছিল। এদেশের মেয়েরা ছিল তাদের চোখে ‘মুক্তিযোদ্ধার’ জন্মদাতা নারী। সুতরাং তাদের ব্যবহার করে উৎপন্ন করতে হবে ‘আসলি পাকিস্তানী’। হঠাৎ প্রচন্ড হাসি পায় পারভেজের। তবে কি সেও একজন ‘আসলি পাকিস্তানী’!! ঘরের ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় সে। নিজের চেহারাটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। নিজের ছেলেবেলার কথা মনে হয় তার। এই মুখের আদল কার মতো হয়েছে তা নিয়ে তো কেউ কোনদিন খুঁনসুটি করে নি। এই মুখের আদল কি একজন পাঞ্জাবীর? না’কি একজন শ্যামলী বাঙালি মেয়ের আদল? ইচ্ছা করে ব্লেড দিয়ে নিজের মুখের চামড়াকে ক্ষত-বিক্ষত করতে। শেষ পর্যন্ত দেয়ালে ঝোলানো আয়নাটাকে প্রচন্ড আক্রোশে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে পারভেজ। ঝনঝন করে ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায় সেটা। তবু পারভেজের অশান্ত মন শান্ত হয় না। (চলবে)
[ধারাবাহিক উপন্যাস ‘দুই নগরের উপাখ্যান ’ রচিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে। উপন্যাসের চরিত্রসমূহ কাল্পনিক। কোন জীবিত বা মৃত মানুষের জীবনের থাকে এর কোন সাদৃস্য পাওয়া যাবে না। পটভূমি ঐতিহাসিক হওয়াতে ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা এখানে স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রেও ক্ষেত্র বিশেষে ইতিহাসের সঙ্গে হুবহু মিল নাও পাওয়া যেতে পারে।]