চৌয়ান্ন হাজার বর্গ মাইলের মানচিত্রের বুকে হেঁটে চলা এক সৌম্য অবয়ব মানুষ
আর নেই আমাদের মাঝে।
রাজশাহীর আম বন ছুঁয়ে কবে সে পা রাখে মহাসাগরের ওপারে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে।
একদিন আটলান্টার স্পর্শ নিয়ে সে ফিরে আসে তরুণ সে পুরুষ বাংলার শ্যামলিমায়।
তারপর সময় গিয়েছে চলে ঘাস আর লতাপাতাদের মাঝে।
রামধনু ওঠা পড়ন্ত বিকেলে,
বৃষ্টিভেজা সকালের রোদে- সৌম্য অবয়ব মানুষটা কাজ করে চলে, জনপদে, লোকালয়ে, পাহাড়ে, সবুজে ঢাকা গ্রামে।
লেখা হয় পাহাড়ী মানুষের কথা, লেখা হয়-‘ক্যান উই গেট অ্যালোন’?
সম্প্রীতির লেবাস পরে কতদূর যাওয়া যাবে আর?
সৌম্য অবয়ব মানুষটা অকস্মাৎ জীবন থেকে উধাও;
বোশেখের স্নিদ্ধ সকালে হঠাৎ তিনি অন্য জগতে যাত্রা করলেন, কাউকে কিছুই না বলে।
সে জগতে মানুষ কি কম ফন্দিবাজ?
কম স্বার্থপর, কম সুবিধাবাদী?
সেখানকার নদী কি এমনি ব্রক্ষপুত্র, মেঘনা, যমুনার মতো?
মাটি কি এমনি মমতা মাখানো?
ধান কি এমনি বৈকুণ্ঠ বিলাস?
আমরা তা জানি না।
সৌম্য অবয়ব মানুষটা কি তা জানেন? তবু কেন তিনি অন্য ভুবনে চলে গেলেন?
এখন কি আমাদের মনের কালিমা দূর হয়ে হিজল ফুলের গন্ধে ভরে উঠবে?
আমরা কি হবো কম স্বার্থপর?
কম সুবিধাবাদী?
পরস্পরকে সম্মান দেবার সংস্কৃতি কি আমরা লালন করতে পারবো?
আমরা কি পারবো সেই সৌম্য অবয়ব মানুষটার মতো হয়ে উঠতে-
পরিমিতিবোধ আর শিষ্টাচারে যিনি ছিলেন অনন্যসাধারণ!!