মানবতার দিশারী
দৃষ্টি যেথা সংকীর্ণ, মানবতা হেথা নিষ্পেষিত।
এ পৃথিবীর এপার ওপার, খুঁজে ফিরেছি মানবতার ধাঁর।
মানবতা সে কি শুধু বইয়ের পাতায়!
স্বপ্নদ্রষ্টা সে তো বহুদুরে হাত বাড়ায়।
হে মানবতার দিশারী,
পুনর্জন্ম হোক তোমার এ গলিত দুর্গন্ধময় লাশের উপর,
বারুদের কটু গন্ধ থেকে।
পুনরুজ্জীবিত হও রক্তের তৃষ্ণা ভুলে,
নির্যাতিতদের আঁখি জলধারায়।
যেমনি ধরণী জাগে বারি চেয়ে, তেমনি জেগে ওঠো তুমি অসহায়ের অশ্রুধারায়।
মনুষ্যত্ব আজ বড়ই অপ্রতুল,
শ্রবণ শক্তি তোমার আজি পয়সার ঝনঝনানিতে নিঃশেষিত।
টাকার পাহাড়ে আজ তুমি ভুলেছ মানবতা আর মনুষ্যত্ব।
ভেবেছ বৃহৎ অর্থশৃঙ্গ বাহিবার ক্ষমতা কার!
দেখেছো কি প্রকৃতির বিচার?
দেশে দেশে যুদ্ধ, ভাইয়ের উপরে ভাই ক্ষুব্ধ,
বাতাস বেরুলে কি আর বাতাস কেনা যায়?
হে প্রভু! এ মানবতা বুঝিবার শক্তি দাও তোমার সৃষ্টিকে।
কত ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, রাশি রাশি জলকম্প;
কত ঝঞ্চা, মহামারী আর কতই না ভূমিকম্প।
তবুও হবে কি হবে না এই মূর্খ জাতি আবারো সুশিক্ষিত!
হে মানবতার দিশারী, পুনর্জন্ম হোক তোমার।
পুনরুজ্জীবিত হও আবারো নতুন করে,
বসুন্ধরাকে সুশোভিত করার তাড়নায়,
ফুল, পাখি, গাছপালা, পশুদের সাথে
মনুষ্যত্বর বসবাস হোক একই সহবাসে।