পরদিন। ‘থ্রি জলি বার্জমেন’ সরাইখানার জো আর একজন লোকের সঙ্গে দেখা হলো পিপের।
পিপকে দেখে নবাগত লোকটা জোকে জিজ্ঞেস করলো,
তোমার ছেলে না‘কি?
না‘তো’। জো বললো।
লোকটাও নাছোরবান্দা, আবার জিজ্ঞেস করলো,
তবে কে হে? ভাগনে না‘কি?
‘না’।
কামার জোর মুখে আবারও সংক্ষিপ্ত জবাব।
হঠাৎ পিপের চোখ আটকে গেলো নবাগত আগন্তক করাতের মতো করে একটা চামচ বুলিয়ে যাচ্ছে কাঠের টেবিলের উপরটায়।
তার পলক আর পড়লো না। নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো সে। এই লোকটা তবে কি সেই পলাতক দস্যুরই কোন আত্মীয়? বন্ধুও হতে পারে।
কোন বাহুল্য প্রশ্ন না করে এবার লোকটা বললো,
মি. গারগেরি, আমার কাছে একটা নতুন রূপোর টাকা আছে, আপনি কিছু মনে না করলে আমি এটা ওকেই দেবো ভাবছি।
বেশ তো দিন না। আপত্তি কিসের?
লোকটা বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
যাবার আগে পিপের হাতে রেখে গেলো টাকাটা, না একটা ভাঁজ করা কাগজ।
পিপ চমকে উঠলো, কাগজ দেখে। সেটা নিছক কাগজই নয়, নোট। একখানা দশ পাউন্ডের নোট।
এ যে দশ পাউন্ডের নোট!
জোও চেয়ে দেখলো, সত্যিই লোকটা এক পাউন্ড না দিয়ে হঠাৎ ভুল করে দশ পাউন্ডের নোট দিয়েই অপসৃত হয়েছে।
সে তখুনি পিপকে বললো. ‘ভদ্রলোকের নিশ্চয় কোন ভূল হয়েছে। যাই, দেখি, ফিরিয়ে দিতে পারি কি না। (চলবে)