স্তব্ধ প্রকৃতি,
স্তব্ধ মানবতা ও মনুস্যত্ব
স্তব্ধ পৃথিবীর আর সব প্রান্তের মানুষজন,
নারী এবং পুরুষ।
বিস্তৃত অন্তর আত্না,
পাখি, পশু, বৃক্ষ এবং তরুলতা।
কাদেঁ মানুষের মন, চোখ বেয়ে গড়ায় জল।
ছোট্ট শিশু অসুস্থ মানসিকতার আঘাতে হয় ক্ষতবিক্ষত।
বাতাসে আর্তনাদ ওঠে.
“আমারে কেউ বাঁচা না রে”।
এ আর্তনাদ শিহাবের একার নয়,
অভাগা এদেশে সাধারণ চোরও মার খায়,
রাস্তায় গণপিটুনী চলে,
হয়না বিচার কোনো;
এমনি ভাবে মার খায় বিদ্যালয়ে শিশু মানসিক বিকারগ্রস্ত শিক্ষকের হাতে।।
শহর ঢাকার মানুষজন আড়ালে আবদালে গৃহ আবব্ধ কাজের শিশুকেও নির্যাতন করে।
ভাষাহীন শিশু সব নিরবে সয়ে যায় গরম খুনতির ছ্যাকা।
মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে ক্ষতবিক্ষত কোন শিশু দেহের ছবি।
চারদিকে তখন আহা! রব ওঠে,
এভাবেই চলে জীবন,
এভাবেই চলছে জীবন,
চলবেও এভাবেই।।
তবু কেন শিহাবের অকাল মৃত্যুতে
এতো কথা, এতো ব্যথা, এতো হাহাকার চারপাশে অনুরণিত হয়?
শিশু শিহাবের অসহায় কণ্ঠস্বর বাতাসে আজ্ও ভেসে আসে,
“আমি মরি যাইয়ার !কেউ আমারে বাঁচারে বাবা।”
আসলেই অকালে, অপঘাতে
পৃথিবীতে কেউ মরতে চায় না।
শিহাবই যেন হয় এর শেষ উদাহরণ।।