মার্সিয়াস জবাব দেয়, না হয়নি। কারণ আমাদের প্রটেকটিভ শ্লিড রয়েছে নিজেদের দেহের চারপাশে। পৃথিবীর কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া তা ভেদ করতে পারে না। আর তোমাদের পৃথিবীর মানুষের রূপ করে ধরে যখন থাকি আমরা তখনও একটি আলট্র প্রটেকটিভ শ্লিড রক্ষা করে পৃথিবী ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর বায়ুদূষণ থেকে। সত্যি বলতে কি আমাদের ভালকানে কোন অসুখবিসুখ নেই। ভালকাদের গড় আয়ু তোমাদের পৃথিবীর হিসেবে ১৫০-২০০ বছর বেশি তো হবেই।
ভালকানরা জন্মগত ভাবেই কম ইমোশনাল। আবেগ, রাগ এসব তাদের জীবনে নেই বললেই চলে। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে দ্বিধাহীন চিত্তে। দ্বিধা, আবেগ, রাগ,ঈর্ষা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা মানুষের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। ভালকানরা এসব সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। অতীত ইতিহাস, কৃষ্টি, অতীত নেতৃত্ব, এসব ভালকানদের ভাবায় না। তারা শুধু বর্তমান কার্যকলাপে ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চায়।
এত দূর পর্যন্ত বলে মার্সিয়াস থামে। স্মিত হেসে তামান্নাকে বলে, ভালকানদের সম্পর্কে আরো জানতে তোমাকে আমাদের একটি ‘ভালকান কোড অব লাইফ স্টাইল কিট’ দিয়ে দেবো। এটি অনেকটা তোমাদের স্মার্টফোনের মতো। তবে আরো মাল্টি ডায়মেনশনাল। এর ব্যবহার পদ্ধতি তোমাকে শিখিয়ে দিলে তুমি নিজেই এটি রান করতে পারবে আর ভালকান সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জেনে যাবে। কী খুশি তো?
তামান্না মিষ্টি হেসে মাথা নাড়ায় ,
ওকে ভাইয়া।
আমি মার্সিয়াসকে ঝাড়ি দেই, ওর কথা বাদ দাও তো! এবার তোমার কাজের কথায় আসো। (চলবে)