কাক কাহিনী
অষ্টম পর্ব
তুলতুলের বিষয়ে বিজ্ঞানীমহলে বেশ হইচই পড়ে গেছে। পক্ষীবিদ ড. সোবহান ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন পাখিবিষয়ক জার্নালে এ বিষয়টি তুলে ধরায় পৃথিবীর সব পাখিবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তেজিত। তারা এই ‘তুলতুল’ নামের কাকটিকে দেখতে ঢাকায় আসতে চাচ্ছেন, শুধুমাত্র ভিডিও কনফারেন্সে তারা খুশি হননি। ড. সোবহান এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে আলাপও করেছেন। সরকারের তরফ থেকেও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সাতজন পক্ষীবিদকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ টিমটি ঢাকা পৌঁছোবে বলে আশা করা হচেছ।
গতকাল দুপুরে নিলয়ের বারান্দার গ্রিলে বসে ‘তুলতুল’ খুব বিজ্ঞের মতো দেশে প্লাস্টিকের অপব্যবহার নিয়ে অর্নগল বকে চলছিল। খ্যাক খ্যাক করে হাসতে হাসতে ‘তুলতুল’ বলে, কী মজার ব্যাপার দেখো, ২০০২ সালে তোমরাই ছিলে বিশ্বের প্রথম দেশ যারা প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছিলে। অথচ আজ সেই তোমাদের দেশেই জনপ্রতি প্লাস্টিকের ব্যবহার দাঁড়িয়েছে ২২.২৫ কেজি। এর মধ্যে তোমাদের ঢাকা শহরেই অভিজাত এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্ল্যাস্টিকের বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। প্ল্যাস্টিক আর পলিথিনের বিষাক্ত উপাদানগুলো তোমাদের শরীরে প্রবেশ করছে নানাভাবে। তোমরা তোমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিজেরাই নিয়ে চলেছো চরম বিপদের দিকে। এসব দেখে আমার খুবই অবাক লাগে। (চলবে)