সময় গেলে সাধন হবে না (ধারাবাহিক জীবন কাহিনী)
২.
বাংলাদেশে পুরুষের গড় আয়ু ৭২ বছরের মতো। এই বয়সী মানুষের কিবা করার আছে এ জীবনে! নারী বা পুরুষের? আজকাল এসব কথা ভাবায়।হয়তোবা অথ্যহীন ভাবনা। হয়তো এতো কিছু ভেবে মানুষের জীবন চলে না্। কতগুলো কথা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছে শাওন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়।মানুষকে পরাজিত করা যায় কিন্ত ধ্বংস করা যায় না।’ মানুষের জীবন কতটুকু? কতদিনের? কেউ তা জানে না।অথচ সেই মানুষই আবার দশবিশ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নেয়।বাস্তবায়নও করে।মানুষ একেক সময় একেক রকম আচরণ করে। কখনও সে বন্ধু হয়ে যায়, কখন্ও স্বার্তপর, অহংকারী।
জীবনকেও বিশ্বাস করা যায় না্। কারণ একসময় জীবনও বিশ্বাসঘাতকতা করে। নিজের হাতেই মানুষ সব শেষ করে দেয়।অবধারিক মৃত্যু জেনেও পথ চলার শেষ নেই মানুষের। কত পরিকল্পনা। কত স্বপ্ন। ঘর-সংসার, স্ত্রী বাচ্চা। হাজারো মায়ার বেড়াজাল গড়ে তোলে মানুষ নিজেই।
এই ২০২৩ সালেও বিশ্বব্যাপী করোনা থেমে নেই।হঠাৎ করেই মানুষ তার প্রিয় মানুষদের ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।হাজার হাজার, লাখ লাখ কবরে প্রিয়জনেরা মুহূর্তের লড়াইয়ে বিগত তিন বছরে হারিয়ে গেছে।এখন সেই যাবার হার হয়তোবা কমেছে, তবে থেমে নেই।তবু মানুষকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে এক অজানা পরিস্থিতিকে।
এমন জীবন, এমন পৃথিবী তো মানুষ চায়নি। তবু তাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে এক অজানা পরিস্থিতিকে।বাংলাদেশের মানুষ মানতে চায় নি স্বাস্থ্যবিধি। তারা মাস্ক পরে রাস্তায়, বাজারে বা শপিং মলে আর যেতে চায় নি। অথচ তাদের চোখের সামনেই প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজারের উপরে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে।আক্রান্তের হার ছিল আঠারো শতাংশের ওপরে।মানুষ কি তখন বিভ্রান্ত না গণ উন্মাদনায় আক্রান্ত ছিল?ক্রমে এই হার ৩০-৩৫ শতাংশে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন তিন সংখ্যার ওপরে মানুষ মারা যেতে থাকে।আক্রান্ত প্রতিদিন ৩-৪ হাজারের ওপরে। তবুও আশায় থাকে মানুষগুলো একসময় শেষ হবে এই অভিশপ্ত দিনগুলো।
আশা –স্বপ্ন একদিন সত্যে পরিণত হয়। করোনায় আক্রন্তের হার একদিন ০.৭৯ পর্যন্ত নেমে আসে মৃতুহীন চারটি দিনও মানুষ পায়।শনাক্ত সংখ্যা ৫৬।মানে দুসংখ্যার ঘরে।তবে কী মুক্তি এলো দ্বারে? (চলবে)