এখনো পেঁজা তুলো মেঘ ওড়ে প্রাচীন অশত্থ শাখায় নেতার হতচকিত আতœা ফিরে আসে। বাতাসে ভুলের আর্তনাদ মানচিত্র ক্ষত-বিক্ষত শুভ কথা, বাক্য বিনিময় সিক্র সিক্্র শার্প শুটারের অর্র্গান। বাতাসে আর্তনাদ- আমাকে রক্ষা কর।। আর্তনাদ শুনি’ গরীবস্য গরীবের নারীদের হাত পোড়ে মৌলবাদে কতটুকু আর্দ্রতা, উষতা পেলে স্ফীত হবে ওই হাত? লোকটা এখনো টুপিসমেত মিছিলের সামনে চলে আসে চশমার ফাঁকে দেখে প্রৌঢ়, রমণী মানচিত্রে হেলান দিয়ে বক্তৃতা শোনে। কারা যেন বলে- মানচিত্র বলয়ে লেখা হবে তোমার নাম।
হে বন্ধু, তোমার নৈকট্যে কিছুদিন স্বপ্নের সরোবরে কেটেছি সাঁতার; অকস্মাৎ কারণ ছাড়া শেষ হলো জলকেলি, যেমন শুধু সেতারের আলাপেই শেষ করেন সংগীত কোন দুঃখী শিল্পী আনমনে। জানতাম বিদায়ের প্রহর একদিন আসবেই প্রেমিক হ্রদয়ে মোর ছড়িয়ে দেবে রাশি রাশি বেদনার উত্তাল ঢেউ, কিন্তু এতোই শীঘ্র আসবে সেই ভয়ংকর বিদায় কখনো ভাবিনি আগে। তুমি অথবা আমি কেউ-ই দায়ী নই এমন সংকটে। যা ঘটেছে হয়ত তার বিষ বৃক্ষ অগোচওে আমরাই পরস্পর করেছি রোপন অসর্তকভাবে? এখন চারদিকে দৃষ্টি অন্ধকরা কালবৈশখী ঝড়, কেনো জলে লুপ্তপায় সাঁকো আর গৃহহীণ মৃত পাখি ভাসমান।।
নরম নরম মেঘগুলো ইউরোপ থেকে যায় এশিয়ায়। দাঁড়কাক বাংলাদেশ আর ইতালিতেও দেখা যায়। খিদের জ্বালায় ছোট শিশু যেমন মায়ের দুধ চায়, তোমার কথা মনে হলেই চোখে বৃষ্টি ঝরে যায়। সুস্বাদু লাগে যেমন থাই স্যুপ, শস্য ভরা ক্ষেত তেমনি সমৃদ্ধির অন্যরূপ। সবুজ-শবজি দেহের জন্য না’কি খুব পুষ্টিকর। তোমার আমার প্রেমের পুষ্টি থাকবে জানি চিরন্তর।।
নেতা ফিরে এসো অনেক হল নেতা তুমি এবার ঘরে ফেরো। বাল্যকালের ম্মৃতিগুলো হাতরিয়ে যাও কোথা? তোমার জন্য স্বদেশ জুড়ে আম-জনতার ব্যথা। অনেক হল নেতা তুমি এবার ঘরে ফেরো। তোমার জন্য ডাহুক ডাকা বন্ধ হলো গ্রামে তোমার জন্য শহরেতে ঘা পড়েছে ড্রামে। অনেক হল নেতা তুমি এবার ঘরে ফেরো। তোমার জন্য ভোরের আকাশ রক্ত রাঙা হলো, তোমার জন্য হৃদয় মাঝে আবেগ বয়ে গেলো। অনেক হল নেতা তুমি এবার ঘরে ফেরো। তোমার জন্য প্রজন্মের অপেক্ষায় যায় সময় , নেতাহীন জাতি বছরব্যাপী গুমড়ে গুমড়ে মরে, তবু কী আমাদের কথা তোমার মনে পড়ে? অনেক হল নেতা তুমি এবার ঘরে ফেরো।
তোমাকে বললাম চল পালিয়ে যা্ই; এই শহরে থেকে যাবার খেলা আর ভাল্লাগে না। কিন্তু তুমি শুনলে না “সুবোধ”! এখন দেখ, গুহা থেকে, মাটির নীচের গভীর গর্ত থেকে. মাটির আরো গভীর থেকে কেমন সব সাপ, বিচ্ছু বেড়িয়ে আসছে; আর ফণা তুলছে। গিরগিটির মতো রং পাল্টে নীতিবাক্য শোনাচ্ছে। জীবন্ত শকুনের অভাবে মানুষরূপী শকুনেরা এখন নর মাংস তৃপ্তি ভরে ভক্ষণ করছে। হায়রে অভাগা স্বদেশ ‘সুবোধের”!!