সাম্প্রতিক প্রকাশনা
কম্পিউটারাইজড বর্ষা

বিস্তারিত পড়ুন

কম্পিউটারাইজড বর্ষা

আলতামাস পাশা

কম্পিউটারাইজড বর্ষা আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা বিকেলে তমালিকার চোখের বিষন্নতা, প্রেম, ভালোবাসা মিলে বর্ষার কবিতা হয়, তারপর . . . . শ্রাবণের মেঘ থেকে ঝরে পড়ে মহাকাব্য হয়। মহাকাব্যের সিডি তথ্যসরণী ধওে মেঘের রাজ্যে পৌঁছায়। নীপ নিকুঞ্জে বাতাসের প্রণয় ক্যাসেট। বকুলের মালা মেঘ রাজ্যে কেন অ্যাসিডের ভাইরাস ছড়ায়? কম্পিউটার জেনারেশনে মেঘ আর কালো হয়ে রঙে রঙে গর্জে উঠে বৃষ্টি ঝরায় না। এখন তপু অপেক্ষায় থাকে কম্পিউটারাইড বৃষ্টি দেখার আশায়। স্বর্গ থেকে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে কম্পিউটারাইড বৃষ্টি আর নাহিরে।’

নেকড়ে আবার একাকী আক্রমণ করে

বিস্তারিত পড়ুন

নেকড়ে আবার একাকী আক্রমণ করে

আলতামাস পাশা

সশব্দ বিস্ফোরণের শব্দ, বাতাসে বারুদের গন্ধ ভাসে; একাকী নেকড়ে, লোকালয়ে আবার আক্রমণ করে। উল্টো-পাল্টা মতবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করে দাবানলের মতো হিংসা ছড়িয়ে দেয় ভঙ্গুর সমাজের রদ্ধে রদ্ধে। এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ আর আমেরিকা জুড়ে কেবলই বোমারু বিমান, মিশাইল আর রকেট ল্যাংচার আর বারুদের পোড়া গন্ধ ভাসে। সর্বত্রই ঘুড়ে ফিরে একাকী নেকড়ে। সভ্য মানুষ বিলুপ্তপায়! মানুষ আজ একাকী নেকড়ের রূপ ধরে ভাইদের হত্যায় তার হিংস্র দাঁত বিকশিত করে।।

বিপ্লবীর দেহে আততায়ীর ছুরি

বিস্তারিত পড়ুন

বিপ্লবীর দেহে আততায়ীর ছুরি

আলতামাস পাশা

ছুরিটা কি যথেষ্ট গভীরে গেছে? তুমি কি একে তোমার ভেতরে অনুভব করছ? এটা ঠিক যেন এক প্রেমিক, তোমার শরীরের গলিগুলো দিয়ে ভ্রমণ করছে। এটা তো কেবল একটা ছুরি, আর তুমি কেবল একটা শরীর, একটু একে অভিবাদন জানাও, প্লিজ। তুমি কি প্রতিশ্রুতি দাওনি, চিৎকার করবে না যখন এটা তোমার রক্ত দিয়ে তোমার উপর আঁকবে বিপ্লবের গ্রাফিতি? আগেও করেছি, জনাব, এটা আমার প্রথম যুদ্ধ নয়, জনাব । দয়া করে দরজাটা বন্ধ করুন, আমি ঘৃণা করি একটা কালো মধ্যরাত্রির আকাশে আর্তনাদের তীব্র শব্দ।

‘সুবোধরা’ কেবলই পালিয়ে বেড়ায়

বিস্তারিত পড়ুন

‘সুবোধরা’ কেবলই পালিয়ে বেড়ায়

আলতামাস পাশা

‘সুবোধরা’ কেবলই পালিয়ে বেড়ায় ক্রমশ একথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে নিঃস্বার্থ পরিশ্রমের ফলাফল হয় শূন্য; কেউ কারো জন্য পথকে মসৃণ করে তুললে, অন্যরা তার পথকে অমসৃণ করে দেয়। কেউ কারো কর্মকীর্তিকে স্বীকৃতি দিলে, জীবনে সে কোন দাম পায় না। এভাবেই নগরের ‘সুবোধরা’ কেবল পালিয়ে বেড়ায়। সময় কখনও তাদের সূর্যোদয় দেখতে দেয় না।

গণতন্ত্র যখন ব্যর্থ

বিস্তারিত পড়ুন

গণতন্ত্র যখন ব্যর্থ

আলতামাস পাশা

থেমে নেই কোন কিছুই- বিয়ে, ঘরকন্যা, টকশো, ককটেল পার্টি। এখনও মুখরিত রেডিসন আর হোটেল রিনজ, শহরের অন্য প্রান্তে হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর, গণতন্ত্র পেট্রোলে মিশে হয়েছে আগুন, দগ্ধ হয় নারী ও পুরুষ। কিছুই থেমে নেই- টকশো অথবা রাজনীতি, কাপড়ে মুখ ঢেকে পালিয়ে বেড়ায় কূটনীতিক পাড়ার দাদা-দিদিরা, দূতওয়ালী ব্যর্থ হলো কী’না তা বোঝা গেল না। তবু আগুনে দগ্ধ হলো কতিপয় সাধারণ মানুষ, দগ্ধ হলো ছোট শিশু, চোখ হারালো অবাক কিশোর- বীভৎস কৌতূক এ কী রকম! তর্কে ব্যস্ত কতিপয় বুদ্ধিজীবি গণতন্ত্রের জন্য, তাই পুড়ে যায় যাত্রীবাহী বাস, কার্ভাড ভ্যান আর প্রাইভেট গাড়ি। অকস্যাৎ হাত বোমায় ক্ষত-বিক্ষত ...

bdjogajog