সাম্প্রতিক প্রকাশনা
গন্তব্য জানা নেই

বিস্তারিত পড়ুন

গন্তব্য জানা নেই

আলতামাস পাশা

গন্তব্য নেই শহরের কোলাহল ভালোলাগে না। বর্বর শহর তুমি গ্রাস করো গ্রাম: পিচঢালা রাজপথে অহংকার, লুণ্ঠন আর কান্নার দিনলিপি লেখা হয় অবিরাম, অবিরত। বহুতল ভবন আর বস্তিতে মিথ্যের কথকতা… কর্পোরেট কালচার গিলে খায় সব! প্রতিদিন পাখিরা কেবল ডানা মেলে শহরেও, মিলিয়ে যায় গন্তব্যে দিগন্তে বিলীন। মানুষের নেই কেনো গন্তব্য, আদিগন্ত মিথ্যার বেসাতি কেবল।

প্লিজ এমন করো না তোমরা

বিস্তারিত পড়ুন

প্লিজ এমন করো না তোমরা

আলতামাস পাশা

প্লিজ এমন করো না তোমরা আমাদের ঠোঁটগুলো নিষ্প্রাণ হয়ে আসে, তোমরা নিষ্প্রাণ হয়ে এসে আমাদের ঠোঁটে হিংসার বন্যা বইয়ে দিচ্ছো। প্লিজ দিয়ো না। আমাদের পরিবারের কাছ থেকে আমাদের কেড়ে নিয়ো না।, যেও না ওই পথ ধরে তুমি কেড়ে নেওয়া জিনিষের ওপর নজর দিচ্ছো কেন? প্লিজ দিয়ো না। সৃষ্টিকর্তা সাক্ষী আমাদের ভাগ্য বদলে গেছে, তোমাদের কারণে, আমাদের দুনিয়া ওলট পালট করে দিচ্ছো, আমাদের বিধ্বস্ত করে দিচ্ছো, শোকে জর্জরিত করে দিচ্ছো; প্লিজ দিয়ো না। তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে সেই বিরহী চাঁদের আধাঁর ঘনিয়ে আসবে, চাঁদের আলো ঢেকে দিতে চাইছো; প্লিজ দিয়ো না। হে দুনিয়া আর আখিরাতের রক্ষাকর্তা, তু...

বাতাসে বিষ!

বিস্তারিত পড়ুন

বাতাসে বিষ!

আলতামাস পাশা

বাতাসে বিষ! নিশ্বাসে অসহ্য জ্বালা, শহরের বাতাসে, মানুষের নিঃশ্বাসে কেবলই দুষণ চলা-ফেরা করে। উড়ন্ত ট্রেন ছুটির দিনের আনন্দকে করেছে গতিময়, দিয়েছে যান্ত্রিকতা; কাগজের ওপর ফুল আর পাতা দিয়ে বানানো শুভেচ্ছা কার্ড রূপ নিয়েছে স্মার্ট কার্ডের। হে প্রকৃতি আমাদের এভাবে নিঃস্ব করে দিয়ো না। পূর্ব-পুরুষের উপস্থিতি আমাদের অনুভব করতে দাও; ত না’হলে অস্থিত্বহীনতার অনুভূতি কেমনভাবে অনুভূত হবে? তোমাদের উৎসব পার্বণের উল্লাস আর হাততালিতে পথশিশুদের কান্না ভেসে আসে। ভেসে আসা সে কান্নাকে পুজি করে বিভিন্ন ভাবে পুঁজির বিকাশ হয় আরো। আগুনের মতো গ্রীস্মকাল, পলাতক বৈশাখী ঝড়ের কথ...

চুপ থাকা সুবোধ তুমি!!

বিস্তারিত পড়ুন

চুপ থাকা সুবোধ তুমি!!

আলতামাস পাশা

চুপ থাকা সুবোধ তুমি!! এখন নানা পথ নানা মত পরস্পরের বিরুদ্ধে; সুবোধ তুমি চুপচাপ থাকো। ওরা সবাই যার যার মতো সব কিছুই দখল করে নেবে তুমি শুধু চেয়ে রবে একাকী দলহীনভাবে। এখনতো সময় দলাদলির, সুবোধের দল নেই কোনো; তুমি তো কেবল বহুজনের খাবলাখাবলির শিকার। শীতের পাখিরা তবু পরিযায়ী হয়, তোমার জন্য খোলা নেই কোনো পথ, অবারিত নেই কোন পথ, আকাশ বা জলে। এখনও সন্ধ্যা নামলে তুমি পোস্টারে ভরে দাও জনতার বুকের দেয়াল; এখনও জ্যোস্না রাতে তুমি চেয়ে থাকো অগণিত নক্ষত্রের পানে এলিয়েনের বার্তার আশায়। অথবা বিলুপ্তপ্রায় কলা বাদুরের মতো ডানা ঝাপটাও তুমি; অথবা এখনও দু’চারটা বিচরণশীল মেঠো ইঁদু...

ক্ষীণ আলোয় আসন্ন মুক্তির আশায়

বিস্তারিত পড়ুন

ক্ষীণ আলোয় আসন্ন মুক্তির আশায়

আলতামাস পাশা

একটা লক্ষ্মী পেঁচা হঠাৎ এসে দেখা দেয় কার্তিকের কুয়াসাহীন সকালে; তখন ভোরের শিশির আর গাছের পাতায় সূর্যালোকে ঝিকিমিকি করে না। পাশের গ্রামে ওয়াজে আসা হুজুরের মতে, এসকলই আলামত কেয়ামতের; যখন সব কিছু দুনিয়াতে অন্যরকম হয়ে যায়। দাবানল, খরা, অতিবৃষ্টি, মানুষের মন ও হ্নদয়ে আঁকে বেসামাল অস্থির ছবি। শিশু শ্রেণীর ছোট্ট শিশুসব রঙিন পেন্সিলে ফুল,পাখি, প্রকৃতি আঁকতে ভুলে গিয়ে আঁকতে বসে ঝড় আর জলোচ্ছাসের ছবি। তবে কি এবার থেকে নবান্ন উৎসব, পিঠাপুলি বানের জলে যাবে ভেসে? হায়! মেঠো ইঁদুরের দল সব ছুটে চলে কোন সে হ্যামিলনের পাগল করা বাঁশির সুরে। ব্যাঙ আর সাপ অস্থিত্ব রক্ষায় ভুলে যা...

bdjogajog