সাম্প্রতিক প্রকাশনা
গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) এয়োদশ পরিচ্ছেদ -২

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) এয়োদশ পরিচ্ছেদ -২

আলতামাস পাশা

এয়োদশ পরিচ্ছেদ -২ না। কেবল আদেশ। হুকুমের ওপর হুকুম। এটা কর,ওটা কর। এটা আন, ওটা আন। এই নাও এই কর। শুধু আদেশ, শুধু হুকুম আর হুকুম। নাঃ! এতোটুকু ভালোবাসাও না। আমি যা পেয়েছি এতোকাল, ফিরিয়ে দেবার হলে আমি কেবল তা-ই দিতে পারি। অন্যকিছু পাবো কোথায় যে দেবো? পিপের মনে হলো, সে দম আটকে মরে যাবে। মানুষ এতো নিষ্ঠুরের মতো কথা বলতে পারে? এতো বিচিত্র দুনিয়া? এতো বিচিত্র মানুষের হৃদয়! তোমাকে ভালোবাসিনি আমি? আমার ভালোবাসা পাওনি তুমি? আশ্চর্র্য! আশ্চর্য!! তাই বুঝি আমাকে পাগল ভাবচো তুমি? স্টেলা তখুনি প্রতিবাদ করলো। তা কেন ভাবতে যাবো আমি? লোকে কি জানে, কি শিক্ষা আমি পেয়েছি এতোকাল? আপনিই কি ...

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স)  এয়োদশ পরিচ্ছেদ

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) এয়োদশ পরিচ্ছেদ

আলতামাস পাশা

এয়োদশ পরিচ্ছেদ রহস্যপুরীতে সেরাতে যে আশ্চর্য অদ্ভুত কথাবার্তা হলো স্টেলা বার মিস হ্যাভিসহামের মধ্যে, পিপ স্তম্ভিত বিস্ময়ে একাকী রইলো তার সাক্ষী! অবিশ্যি মিস হ্যাভিসহামের গিয়েই বসলো স্টেলা। কিন্ত তার মুখে যেমন নেই এতোটুকু হাসি, তেমনি তার ব্যবহারে ও রূঢ় ভঙ্গিতে প্রকাশমান রইলো একধরণের উদ্ধত কাঠিণ্যের ভাব। মিস হ্যাভিসহাম বললেন, স্টেলা, আমার জন্য তোমার মধ্যে আর এতটুকু করণা নেই? মিস হ্যাভিসহামের দিকে চোখ তুলে তাকালো না পর্যন্ত স্টেলা। ধরা গলায় বললো, আজ যে আমি নিজেকেই করুণা দেখিয়ে শেষ হতে বসেছি। কী আশ্চর্য কণ্ঠস্বর তার, পিপের মনে হলো। মিস হ্যাভিসহাম একবার চ...

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

আলতামাস পাশা

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ পিপ ফিরে এলো লন্ডনে। তার মন নানাচিন্তায় ভারাক্রান্ত। হার্বাটকে সমস্তই খুলে বললো সে। তাকেই বিশ্বস্ত বন্ধু মেনে নিলো সে। এতোদিন যা সে লুকিয়ে রেখেছিল, এবারে তাই সে খুলে বললো স্পষ্টবাক্যে। বললো, হার্বাট, স্টেলাকে আমি ভালোবাসি। সে ছাড়া.. হার্বাট বাধা দিয়ে বললো, আমাকে অতো করে বলতে হবে কেন? আমি তো সবই জানি। পিপ ভয়কংর অবাক হলো তার কথা শুনে। তুমি জানবে কেমন করে? আমি তো তোমাকে এ সম্পর্কে কিছু বলিনি। হার্বাট হাসতে লাগলো, তুমি একটা আস্ত গাধা! আমাকে যখন না বলেই চুল কেটে এসে ঘরে ঢোকো তুমি, তোমার দিকে চেয়েই কি আমি তখন বুঝতে পারিনে যে তুমি কোথায় গিয়েছিলে...

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) একাদশ পরিচ্ছেদ

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) একাদশ পরিচ্ছেদ

আলতামাস পাশা

একাদশ পরিচ্ছেদ পিপের বদ্ধমূল ধারণা হলো তার এই পরিবর্তনের মূলে নিশ্চয় রয়েছেন মিস হ্যাভিসহাম, অন্য কেউই নয়। লন্ডন রওয়ানা হবার একদিন পূর্বে তাই সে গেল সেই রহস্যপুরীতে। মিস হ্যাভিসহাম আরো বুড়ো হয়েছেন। তাকে দেখে হাসলেন। বললেন, বাসরে তুমি তো বাপু দেখতে শুনতে একেবারে বড়োসড়োটি হয়ে উঠছো। পিপ বললো, আমি লন্ডন যাচ্ছি, তাই যাবার আগে আপনাকে একবার দেখতে এলাম। বেশ করেছো। মি: জাগারসের সঙ্গে আমার গতকাল দেখা হয়েছে। দত্তক নেয়ার পরও কিন্তু তোমার নাম তোমারই থাকবে। এই ভালো হয়েছে। খবরদার নাম পাল্টাবে না পিপ। মিস হ্যাভিসহাম আবার হাসলেন , বললেন, বিদায় পিপ। বিদায়। পিপ বললো তা...

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স)  দশম পরিচ্ছেদ

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেট এক্সপেক্টেশন (মূল উপন্যাস: চার্লস ডিকেন্স) দশম পরিচ্ছেদ

আলতামাস পাশা

দশম পরিচ্ছেদ পিপ শেষ পর্যন্ত জো‘র কাজে লেগেছে। শিক্ষানবিশী করছে সে- হাতে কলমে শিখছে কামারের ছোটবড় সব কাজকর্ম। গত চার বছর ধরে সে এই কাজে ব্যস্ত রয়েছে। ‘দি থ্রি জলি বার্জমেন।’ জো, পিপ- এরা দু-জন প্রায়ই যায় এই সরাইখানায়। সেদিনও তারা গেছে। সেদিন সরাইখানাতে একজন বয়োবৃদ্ধ শহুরে ভদ্রলোক এসে প্রবেশ করলেন। তিনি অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিপকে লক্ষ্য করতে লাগলেন। তারপর সোজা হেটে গেলেন জো’র পাশে। জিজ্ঞেস করলেন তাকে, ‘আপনাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই জোসেফ গারগেরি, কামার; দয়া করে বলুন দেখি, কে তিনি? জোসেফ আরও কাছে সরে এলো। বললো, আমিই জোসেফ, আপনার কি দরকার? আগন্তুক বল...

bdjogajog