আমি সেই দিনটিকে আর্শিবাদ মনে করি। যেদিন তোমাকে আমি জীবনের সীমান্তে খুঁজে পেলাম। বিনীতভাবে আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করলাম; হোক শুরু এখান থেকেই। কেড়ে নিও না একজনের বেহেশতি সুখ।
পারিজাত ফুটেছে অনেক, দেবকাঞ্চনের শাখায় শাখায় দখিণার উন্মুক্ত উল্লাস; শিহরিত কথোপকথন। কথোপকথন শেষ হলে, চলে খানিকতা স্বপ্ন বুণন।
নিকানামা একটি নিকানামা লেখা হবে; তাই প্রস্তুত একটি ছেলে একটি মেয়ে্। কলম হাতে লিখতে তৈরি কাজি সাহেব- নিকানামা লিখবেন তিনি। অমুকের কন্যার সাথে শাদী মোবারক অমুকের পুত্রের; নতুন কাহিনীর শুরু হতে চলে; নিকানামা লেখা শেষে; বৈশাখী ঝড়ের পড়ে, আষাঢ়- শ্রাবণের অবিরাম বৃষ্টি শেষে, সাদা মেঘের ভেলায় ভাসা শরতের আশ্বিনে অথবা শিশির ঝরা হেমন্তের কোন বিকেলেও এভাবেই লেখা হবে হয়তোবা একটি কাবিননামা! অনন্তকাল ধরে। কী আশ্চর্ একুশ শতকের পৃথিবীতেও লেখা হয় নতুন নতুন কাবিননামা।
নিঃশব্দচরণে আসে বর্ষা ভেজা রাত। সমুদ্রবেলায় খেলা করে বৃষ্টি অবুঝ শিশু। ঢেউগুলো কানে কানে না না কথা ভেঙে ভেঙে বলে। অবোধ বালিকা বরষা দাঁড়িয়ে সাগরপারে।।
কোন দিন আর বলা হবে না, কি আমার দুঃখ-বেদনা। কষ্টটা তবু থাকে, কষ্টটা তবু তীব্র হয়; পেজাঁ তুলোর মতো কষ্টটা জমতে জমতে পাহার হয়। সূচেঁর মতো মনটা সেখানে হারিয়ে যায়, জীবন যেন খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজে ফেরার মতো নিরন্তর একরোখা প্রচেষ্টা- শুরু আছে যার, তবু শেষ নেই।।