কষ্টটাই রয়ে যায় তারপর যদি একদিন ভরা জ্যোস্নায় আমিও চলে যাই; একমাত্র তোমার হাসিকে নিশ্চয়তা ভেবে চির নবাণ্নের দেশে। সে মুহূর্তে জেনে যাবো, সব কিছুই নয়; তবে কিছু কিছু জিনিষ বড্ডো দেরীতে আসে, বড্ডো দেরীতে ধরা দেয়, হারিয়ে যায় সেও হঠাৎ করেই। শুধু কষ্টটাই থেকে যায়- আসলে কষ্টটা এভাবেই ছিল- কষ্টটা এভাবেই থাকে।
একটি কবিতার জন্য প্রার্থনা জানাই। এই বৃক্ষ, শ্যাওলা পরা দেয়াল আর শতায়ু বৃদ্ধ একটিমাত্র কবিতার জন্য কেন আমাকে এতসব শর্ত জুড়ে দেয়? সবুজ মাঠ, নীলকণ্ঠ পাখি, অবারিক জ্যোস্নালোকিত রাত তোমরা আমায় একটি কবিতা দেবে? যা আমায় আর কেউ দিল না? একটি শর্তহীন কবিতা পাবার জন্য আমাকে আর কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে? নক্ষত্র খচিত রাত, হেমন্তের কুয়াসা ঢাকা সকাল, শীতের পরিযায়ী পাখি-কার কাছে কবিতার প্রার্থনা করবো? পারমাণবিক বর্জ্যে মৃতপায় নদীগুলো কবিতার সন্ধান দিতে পারে না- কেবলই আজলা ভরে রেডিয়েশন ঢেলে দেয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনি থেকে কয়লা পোড়া বিষাক্ত সালফার ডাই অকসাইডের ধোঁয়া চারপ...
একে একে সবাই চলে গেছে এ শহর ছেড়ে। কেউবা গাঁয়ের বাড়ি। কেউবা প্রিয়জনের কাছে। আমি কোথাও যাইনি। কেন যাবো? কি হবে গিয়ে? গাঁয়ে বাড়ি নাই, প্রিয়জন নাই, প্রতীক্ষা নাই, আ্শাও নাই, একাকী আমি এই শহরের ছোট বাড়িতে রয়ে গেছি। উৎসবে যোগ দিতে শহর এখন খালি। রাস্তাঘাট সব নির্জন, বড় বড় বিপণী বিতানগুলো বন্ধ। এই শহর আবার ভরে যাবে মানুষের কোলাহলে। গাঁ থেকে ফিরে আসবে সবাই। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দু’চোখ জলে ভরে আসবে। শুধু আমার চোখদুটি চৈত্র্যেও খরার মতো শুকনো থেকে যাবে।
তোমার হাতের ফুল ঝরে পড়ার আগে আমি স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্টে গুমড়ে কেঁদে উঠলাম। হাঁটতে গিয়ে পাথরে পা লেগে উল্টে পড়লাম, উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলাম পাথরে খোদাই করা তোমার নাম। অমানুষের মতো তোমাকে ভুলে যেতে চেয়ে নিজের মনকে করলাম ক্ষত-বিক্ষত অথচ আমার বুকের নিবিড়তম স্থানে রক্ত আখরে লেখা তোমার নাম, এ কথাটি কেমন করে ভুলে ছিলাম!
তোমরা জান না কীভাবে ভালোবাসা হয়। তোমরা যা কর তা ভালোবাসা নয়। আনন্দ কি শুধুই প্রাপ্তিতে? আনন্দ কি শুধু যৌবনের রক্ত লাল কৃষ্ণ চুড়ায়? আনন্দ কি শুধুহৃদয়ের অলিন্দ খুলে ভালোবাসাকে কাছে পাবার মধ্যে? রাধাকে খুঁজে ফেরা মথুরা কিংবা বৃন্দাবনে..,, ভালোবাসার বৃষ্টিভাখা অপেক্ষা জুলিয়েটের টেমস কিংবা রাইন নদীর তীরে। তাই বুঝি ভালোবাসা শুধুই অপেক্ষার, ভালোবাসা তো শুধুই স্মৃতির ভালোবাসা কান্না ভেজা তাই সে এতো মধুর।।