সপ্তদশ পরিচ্ছেদ মিনহাজ সাহেব বসে আছেন। ওঝিমান্ডা লেসার বেরিয়ারের সম্ভাব্য ক্রটি সারাতে ব্যস্ত। সেলিমকে যে মহাজাগতিক শক্তি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তা এখনও শনাক্ত করা সম্ভবপর হয়নি। মিনহাজ সাহেব গত ২৪ ঘন্টা শুধুই বিলাপ করেছেন। এখন তিনি শান্ত। মিনহাজ সাহেবের এই মানসিক অবস্থায় তাকে আর বেশি বিরক্ত করতে চান না ওঝিমান্ডা। তিনি ঠিক করলেন প্রথমে এই মহাজাগতিক শক্তির উৎস ও ক্ষমতা তাকে বের করতে হবে। এই প্রথম ওঝিমান্ডা সরাসরি ভালকান গ্রহের ট্রেটা ৭০৭ কম্পিউটারের সাহায্য নেওয়ার কথা চিন্তা করলেন। ট্রেটা ৭০৭ একটি আশ্চর্য সুপার ন্যাচারাল কম্পিউটার। ভালকানে যখন হঠাৎ প্রাণীকুল...
কাক কাহিনী দশম পর্ব নিলয়দের বাসার সামনের ছাদে বিকেলবেলা কাকদের সভা বসেছে। দেখে মনে হয় জরুরি সভা জাতীয় কিছু চলছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য প্রমাণ পেয়েছেন নিজেদের মধ্যে কাকেরা একধরনের যোগাযোগ করে, ভাব বিনিময় করে- মুখ দিয়ে বিভিন্ন ছন্দের শব্দ করা, বসার ভঙ্গিমা আর পায়ের মাধ্যমে। তুলতুল এদের মধ্যে আঝে কি‘না নিলয় তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে না। চোখে তাই বাইনোকুলার লাগায়। দেখে যেন অবাক হয় নিলয়। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে হতে চায় না। তুলতুল সবগুলো কাকের মাঝখানে বসা। অন্যান্য কাকগুলো তাকে চর্তুদিকে ঘিরে বসেছে। সবাই যেন একমনে তুলতুলকে নিয়ে ধ্যানে বসেছে। তুলতুল যেন এ এলাকার কা...
বাতওয়ালের ক্ষুধা ষষ্টদশ পরিচ্ছেদ মারভিলার সর্বোচ্চ পরিষদের নিদের্শনা আবারও উপেক্ষা করেছে মারভিলার মাল্টি সুপার কম্পিউটার আলট্ররাম ক্রোম সাতশো সাত। আসলে নিজের মেমোরির বিন্যাসটিকে কিছুতেই সে ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনায় নিয়োজিত করতে চাচ্ছে না। পৃথিবীর মানুষ এবং সৌরজগতের বিভিন্ন সভ্যতার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অনাদিকালের। আলট্ররাম ক্রোম সাতশো সাত পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু আদিবাসীর জীবনযাত্রা প্রণালী বিশ্লেষণ করে অবাক হয়ে গেছে এটি জেনে যে, পৃথিবীর হিসেবে হাজার হাজার বছরের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন ছিল মানুষের সঙ্গে এসব সভ্যতার। আলট্ররাম ক্রোম সাতশো সাত তার মেমোরি ডিভাই...
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ টংকাবতীতে সবে ভোর হয়েছে। সকালের ভ্রমণকারীরা একে একে ঘরে ফিরছেন। শীতের সকালের কুয়াশা তখনও কাটেনি। ঘুম ঘুম চোখে নাহিদ তখনও বিছানায় বসা। হঠাৎ তার খেয়াল হলো প্রফেসর রব্বানীকে খবর পাঠানো হলেও তিনি আজও এসে পৌঁছেননি। অবজারভেটরির প্রোগ্রামার এসে বললো যে, ঢাকা থেকে যে ই মেল এসেছে তাতে বলা হয়েছে, প্রফেসর রব্বানী হিরন পয়েন্টে আছেন। শীঘ্র তিনি ফিরবেন। এ অবস্থায় সামগ্রিক অবস্থা মনিটরিং করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। ঘড়িতে আটটা বেজে দশ। জোসেফ তার প্রাত্যহিক ভ্রমণ শেষে ফিরে আসে। দুজনে মিলে ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে ঢাকা থেকে আসা ই মেলের বিষয়ে আলাপ করে। জোসেফ ব...
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ঘুম থেকে জেগে উঠে প্রফেসর রব্বানী খানিকটা অবাক হলেন। দেহের কোথাও কোন ক্লান্তিবোধ নেই। তিনি যেন নতুন শক্তি ফিরে পেয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্য্যরে ব্যাপার হচ্ছে চোখের সামনে তিনি অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছেন স্পষ্ট তিনি বিভিন্ন তথ্যসহ তার জীবনের নানান ঘটনা স্মরণ করতে পারছেন। চোখের সামনে ভেসে উঠলো পার্বত্য চট্টগ্রামের টংকাবতি রেডিও টেলিস্কোপ অবজারভেটরি। নাহিদের চিন্তাক্লিষ্ট মুখ, এন্ডোমিডা নেব্যুলার টেলিস্কোপিক সিগনাল- সবকিছু প্রফেসর রব্বানীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। ঠিক সেই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নীলাভ গায়ের রংএর একজন মানুষের মতো প্রাণী প্রফেসর সাহেব...
