সাম্প্রতিক প্রকাশনা
বিরক্তি

বিস্তারিত পড়ুন

বিরক্তি

আলতামাস পাশা

এখন স্বপ্ন আসে ভাঙা ঘরে আকাশে যখন কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ সব যখন ফুরিয়ে নিঃশেষ। শীত যখন হিমেল বাতাস বইয়ে ভালোবাসাকে তিরস্কার করে। পৃথিবীতে ভালোবাসা অপরাধ বলে ঘোষিত হয়। প্রচ- ঘৃণায় যেমন মুছে যায় প্রিয়ার চোখের কাজল। এখন বৃষ্টি নামে ভাঙা ঘরে, ছিদ্র ছাদে হাওয়া খেলে বেড়ায়।। এখন তৃষ্ণা সাহারার তৃষ্ণাকেও হার মানায়। দু’চোখে শুধু ঘৃণা আর বিরক্তি ঝরে এখন।

বৃষ্টি ভেজা সকাল

বিস্তারিত পড়ুন

বৃষ্টি ভেজা সকাল

আলতামাস পাশা

সেই কবে বৃষ্টি ভেজা এক সকালে তুমি কথা দিয়েছিলে, সাক্ষী ছিল ভোরের হাওয়া, সাক্ষী ছিল বউ কথা কও পাখি। এখনো আমার মনের সিন্দুকে জমে আছে কত কথা। শুধু তুমিই গেছো ভুলে আমাদের সোনালী সময়কে। কেন এমন হয়? বর্ণালী সময়, অবুঝ কথোপকথন সব ছিঁড়ে- খুঁড়ে কেন রক্ত আর দুঃখ ঝরে পড়ে। কেন তবে মিথ্যে স্বপ্ন দেখালে? দুচোখের অবুঝ বিশ্বাসটুকু কেন ফেলেছিলে হৃদয়ে? এখন নোঙ্গরহীন হৃদয় আমার কোন বন্দরে ভিড়াবো নিয়ে?

‘সুবোধরা’ কেবল পালিয়ে বেড়ায়

বিস্তারিত পড়ুন

‘সুবোধরা’ কেবল পালিয়ে বেড়ায়

আলতামাস পাশা

ক্রমশ একথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে নিঃস্বার্থ পরিশ্রমের ফলাফল হয় শূন্য; কেউ কারো জন্য পথকে মসৃণ করে তুললে, অন্যরা তার পথকে অমসৃণ করে দেয়। কেউ কারো কর্মকীর্তিকে স্বীকৃতি দিলে, জীবনে সে কোন দাম পায় না। এভাবেই নগরের ‘সুবোধরা’ কেবল পালিয়ে বেড়ায়। সময় কখনও তাদের সূর্যোদয় দেখতে দেয় না।

সৌম্য অবয়ব মানুষটা আর নেই

বিস্তারিত পড়ুন

সৌম্য অবয়ব মানুষটা আর নেই

আলতামাস পাশা

চৌয়ান্ন হাজার বর্গ মাইলের মানচিত্রের বুকে হেঁটে চলা এক সৌম্য অবয়ব মানুষ আর নেই আমাদের মাঝে।

রাজশাহীর আম বন ছুঁয়ে কবে সে পা রাখে মহাসাগরের ওপারে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে।

একদিন আটলান্টার স্পর্শ নিয়ে সে ফিরে আসে তরুণ সে পুরুষ বাংলার শ্যামলিমায়। তারপর সময় গিয়েছে চলে ঘাস আর লতাপাতাদের মাঝে।

রামধনু ওঠা পড়ন্ত বিকেলে,

বৃষ্টিভেজা সকালের রোদে- সৌম্য অবয়ব মানুষটা কাজ করে চলে, জনপদে, লোকালয়ে, পাহাড়ে, সবুজে ঢাকা গ্রামে।

লেখা হয় পাহাড়ী মানুষের কথা, লেখা হয়-‘ক্যান উই গেট অ্যালোন’? সম্প্রীতির লেবাস পরে কতদূর যাওয়া যাবে আর? সৌম্য অবয়ব মানুষটা অকস্ম...

যেখানে সূর্য ডোবে না আর

বিস্তারিত পড়ুন

যেখানে সূর্য ডোবে না আর

আলতামাস পাশা

সবাই যে যার মতো হারিয়ে যায় জীবন থেকে; একেক করে, একেক সময়ে। একই সংগীত গীত হয় নানাভাবে, তবে ভালো লাগে, একেকজনের একেক সময়ে। পাথর্ক্য কেবল সময় আর ভালোলাগায়।

তারপর? মানুষগুলো সব বিষণœ হয়, ক্লান্ত হয়- কাঁচের দেওয়াল গড়ে তোলে চারপাশে, ক্রমে তারা মানুষ থেকে ছায়ায় রূপান্তরিত হয়।

তারপর একসময়, কোন এক মধ্য দুপুরে, সূর্য যখন মাথার উপর, তখন আর ছায়াও থাকে না, নাই হয়ে যায় মানুষগুলো।

এক এক করে নাই হয়ে যাওয়া মানুষগুলো, কিংবা রূপান্তরিত ছায়াগুলোর কী ভাবে মুক্তি মিলবে এই পরিশ্রান্ত ঘমাক্ত পৃথিবী থেকে?

মানুষগুলোর এখন বড্ডো আলস্য লাগছে। চারদিকে রঙের খেলা এ পৃথিবীতে; স্বপ...

bdjogajog