পরিচয়- আমি নিতু; একপাক্ষিক প্রেমিকা. ও সেতু; আমার ভালবাসার ভালবাসা. আর ও ? ও তো ও ই; আমার নীলকন্ঠ । আমার নিত্য দিন বেঁচে থাকার সুর সঙ্গের তাল। আমার আর নীলকন্ঠের পরিচয়টা অনেক আগে থেকেই. আমরা খুব ভালো ঠিক বন্ধু বলব না, তবে একে অপরকে বুঝতে পারি.। আমি খুব রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। প্রেম সেখানে বড় লজ্জা আর বিধি নিষেধের নামা তবুও আজকাল কেন জানি না নীলকন্ঠকে অনেক বেশি উপলব্ধি করছিা সবসময় ওকে প্রায়োরিটি দিয়ে চলেছি আমি বুঝতে পারছি আমি ভাঙছি,আমি নষ্ট হতে চলেছি-পরিবার আর আমার নিজস্ব সত্তা ও চিন্তা ধারার বাইরে চলে এসেছিা প্রচণ্ড যুদ্ধ করছি, কিন্তু পারছি না সত্যি বিশ্বাস কুরুন-আমি জ...
সন্ধ্যা নামছে তখন। তপতী ভার্সিটি থেকে বাড়িতে ফিরল। ওর হাসিখুশি সৃন্দর মুখখানি আজ বড্ডো করুণ। এমনিতে তপতী চঞ্চল, তবু মাঝে মাঝে দেখা যায় ও নিশ্চুপ, তখন ওর আহত চোখ দু’টো অনুসন্ধিৎসায় কি যেন খুঁজে ফেরে। ড্রইংরুমে সোহেল ভাইয়া বসেছিল। মা মারা যাবার পর, বাবা বিদেশ চলে যাওয়ায় তপতী এখন বড় চাচার বাসাতেই থাকে। সোহেল বড় চাচার একমাত্র ছেলে। তপতীর চেয়ে বছর চারেকের বড়। তপতীকে ঢুকতে দেখে সোহেল ম্যাগাজিনের পাতা থেকে মুখ তুলে বলে, ‘কি রে তপু কেমন আছিস? মুখটা এমন শুকনো কেন?’ অনেক কষ্টে তপতী হাসবার চেষ্টা করে বলে, ‘ ও কিছু না তুমি বস, আমি বড্ডো ক্লান্ত আজ, একটু বিশ্রাম নেব ভাবছি।’ মাঝ...
অফিস থেকে ফিরে লিজা ওঁদের ফ্লাট বাড়ির বারান্দায় রোগা মতো একটা লোককে বসে থাকতে দেখে। লোকটার মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি। রুক্ষ বিবর্ন চুলে কতকাল তেল পানি পড়ে নি কে জানে। লিজার পায়ের শব্দে লোকটা মুখ তুলে তাকায়। লিজা লক্ষ করে লোকটার দু’চোখ ক্লান্তিতে ভরা। মৃদু কণ্ঠে লোকটা বলে আমাকে কিছ “আপা আমাকে কিছু খেতে দেবেন?” মানুষটার প্রশ্নে লিজা একটু থতমত থেয়ে যায়। আসণে মানুষটাকে তার খুব চেনা লাগছে। কোথায় যেন এই লোকটাকে সে আগেও দেখেছে। কবে তা ঠিক মনে করতে পারছে না। লোকটাকে বারান্দায় বসতে বলে, লিজা ৩য়তলা তার নিজের ফ্লাটে আসে। কাজের মেয়ে চম্পা দরজা খুলে দেয়। রান্নাঘরে এসে এক...
সিদ্দিক একাই থাকেন। তার স্ত্রী লাবনী মারা গেছেন প্রয় পাঁচ বছর হয়েছে। সিদ্দিক সাহেবের দু’ই ছেলে এক মেয়ে । বড় ছেলে শাবন ব্যাংকে কাজ করে। ওয়াশিংটনে থাকে। আর এক ছেলে শান কানাডার মন্ট্রিয়েলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। সবার ছোট মেয়ে লাবনী থাকে স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে। সিদ্দিক সাহেবের বয়স সত্তর হতে বছর তিনেক বাকি। তেমন কোন অসুখ তার নেই। কিন্তু মনের মধ্যে এক অসীম শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সরকারি চাকুরি করতেন সিদ্দিক সাহেব। পেনশনের টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট আর সঞ্চয়পত্রের টাকায় একা মানুষের ভালোই চলে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাঝে মধ্যে ডোনেশনও দিয়ে থাকেন তিনি। বিভ...
ঢাকার ওয়ারির লাল মোহন সাহা স্ট্রিটের সামনে এসে থামে একটা সিএনজি। ভেতর থেকে নামে শাওন। পরনে সাদা অফ হোওয়াইট কোর্ট আর কালো পেন্ট। আজ ওর বিয়ে। বিয়ে হবে ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ের আইন অনুসারে। অর্হনা বিয়ের সাজে সেজে একটু পরেই এখানে চলে আসবে তার ঘনিষ্ট বান্ধবীকে সাথে নিয়ে। সঙ্গে আসবে বিয়েতে স্বাক্ষী হবার জন্য আরো দু’জন উকিল এবং দু’জন কলিগ। এক অদ্ভুত অনুভূতি শাওনকে শিহরিত করে। অর্হনাকে প্রথম দেখে শাওন চাকরি সূত্রে। সে ঢাকা ভার্সিটি থেকে মাস্টারস্ শেষ করে সবেমাত্র একটা চাকরিতে ঢুকেছে। একদিন সকালে অফিসে গিয়ে শাওন দেখতে পায় চঞ্চল কাঠবিড়ালির মতো চঞ্চল একটি মেয়ে বিভিন্ন ...