উৎসর্গ করলাম নিজেকে তোমার জন্যে তোমার নিরাপত্তার জন্যে আমি সত্য বলে যাবো, তোমার ভবিষ্যৎ স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে; মিথ্যাকে কোনভাবেই বিনিময় করবো না। তবুও অনিয়ন্ত্রিত আঙুলের কারসাজিগুলো; হয়তোবা আমার হাত থামাতে পারবে না। আমি জানি আমার কণ্ঠ নিঃসৃত বাক্যসমূহ আজকের দিনে অচল; কিন্তু তোমার আগামীর জন্যে তা উৎসর্গ করে গেলাম।।
এই যে জনাব, প্রতিদিন ফেসবুকে এতো যে বয়ান দেন- জাতির উদ্দেশ্যে! কোন ঘন্টা করতে পেরেছেন? প্রতিদিন তো এটা ভালো নয়, ওটা ভালো নয়, ওটা খারাপ, সব কিছু রসাতলে গেল বলে কলোরব তোলে পোস্ট দেন। নিজের অন্তরে ভালোর কোন চাষাবাদ কি করেন? আগাছায় তো ভরা সবার জী্বন বাগান!! যার যার বাড়ি যেতে পদ্মা সেতু, যমুনা সেতু পার হন দ্রুত; ‘পুলসিরাত’ পারাপারের চিন্তাই শুধু মাথায় থাকে না কারো!!!
চোখের সামনে যা দেখি তা‘কি সত্য? যা দেখতে পাওয়া যায় তার সবটুকুই কি দৃষ্টিগ্রাহ্য? যা শুনতে পাওয়া তার কতটুকু সত্য? যা অনুভব করা যায় তা‘কি হ্নদয় গভীরে অনুভূত হয়? যা মিথ্যা তার সবটুকুই কি মিথ্যা? যে অন্যায় করে বানায় অর্থ তার সবটুকুই কি অভ্যাস, না‘কি চাহিদার তাগিদ? যে জলে জন্মায় তার সবটুকুই কি জলজ? যে স্থলে জন্মায় সে জল ছাড়া বাঁচে না কেন?
যে ট্রেনটিতে আমি ছিলাম, যদি তুমি তা ধরতে না পারো; জানবে তুমি যে, আমি চলে গেছি স্টেশন ছেড়ে; শত শত মাইল দূর থেকেও তুমি ট্রেনের হুইসেলের শব্দ শুনতে শুনতে আমাকে খুঁজে পাবে।
চাইনা তোমাদের গার্ড অব অর্ণার যে বীর মুক্তিযোদ্ধার মাথা সমাহিত রেল স্টেশনে, দেহাবশেষ সুগার মিলের মাটিতে, তাকে কি তুমি গার্ড অব অর্ণার দেবে না, হে আমার জন্মভূমি? কত শত গণকবরে শাষিত হাজার মুক্তিযোদ্ধা তাদের কেন তুমি গার্ড অব অর্ণার দাও নি এতো দিনেও? অথচ স্বাধীনতার তেপান্ন বছর পরে জীবিত কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তার জন্যে হে আমার জন্মভূমি তুমি কেঁদে জারে জার হয়ে যাও। কী আশ্চর্য চরিত্র তোমার! শহীদ মিনারে তার লাশ নিয়ে কর মাতামাতি, দা্ও তারে অসংখ্যবার তোমাদের গার্ড অব অর্ণার। যে মুক্তিযোদ্ধার কবরের হদিস নাই, যাদের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য স্থানে সমাহি...