ওই পোকায় সব খেয়ে শেষ করলো। তবু কেউ করলো না প্রতিবাদ, কিছু তুর্কী তরুণ-তরুণী হইচই করে সকাল-রাতে না খেয়ে বসে রইল।। সন্ধ্যার আড়ালে কুয়াশা ঢাকা আলো আঁধারে খিঁচুড়ি রান্না হলো নাম না জানা সংগ্রামের অন্তরালে।। তারপর এলো এক স্বপ্নচারী কল্পলেখক; মিষ্টি কথার ফুলঝুরিতে মাতয়ারা সব তরুণ-তরুণী, চোখের জলে ভেসে উথাল-পাথাল, ভাঙল তারা অনশন। তারপর... তারপরও তুমি শুনতে চাও? কী আর শোনাবার আছে ‘সুবোধ’দের? ওরা যে কেবলই পালায়, নিজের থেকে, সমাজ থেকে, স্বদেশ থেকে, ভূমধ্যসাগরের অগাধ জলে ডুব সাঁতার দিয়ে মরতে।।
যদি সফল হও তোমার লুঙ্গি পরা ছবি ইতিহাস হবে। যদি তুমি ব্যর্থ হও তোমার স্যুট পরা ছবিটাও সবার উপহাসের বস্তু হবে। অতত্রব সফলতার কথা না ভেবে, কেনো তুমি অপকর্মে বিভোর হও? কেনো যাও না ভুলে তোমাদের অতীত কার্যকলাপ; মতলববাজ তোমাদের মনের কোণে দেশপ্রেম, অঙ্গীকার,প্রত্যয়, সহনশীলতা আর ভালোবাসা হারিয়ে গেছে কোথায়? তা কোন ইউনিভার্সে হারিয়ে ফেলেছো। কোন দিন আর তা ফিরে পাবে কি?
আমাদের নিরবতাকে তোমরা প্রশ্রয় ভেবে ভুল করছো; আমাদের প্রতিবাদহীনতাকে তোমরা আমাদের পরাজয় ভেবে আনন্দ করছো। কিন্তু কোন কবির মনকে তুমি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে না। কবিকেও তুমি রিমাান্ডে পাঠাবে? পাঠাও, কী এমন তথ্য পাবে তার কবিতায় অথবা কল্পনায়? গাছেদের কথা? আদিবাসী মানুষের প্রকৃতিকে ভালবাসার কথা? তুমি কি তার কল্পনায় বিষধর সাপ খুঁজে পাবে? যেমনটা আজ পৃথিবী জুড়ে সর্বত্র বিরাজমান: সোশ্যাল মিডিয়া আর কর্পোরেট জগত জুড়ে! কষ্ট দিবে তারপরও? কবির তো জন্মই হয় কষ্ট নিয়ে; আর কী এমন কষ্ট তুমি তাকে দিবে? তার চেয়ে কবিকে এবার যেতে দাও ‘সুবোধ’দের সাথে।।
শহরের কোলাহল ভালোলাগে না। বর্বর শহর তুমি গ্রাস করো গ্রাম: পিচঢালা রাজপথে অহংকার, লুণ্ঠন আর কান্নার দিনলিপি লেখা হয় অবিরাম, অবিরত। বহুতল ভবন আর বস্তিতে মিথ্যের কথকতা… কর্পোরেট কালচার গিলে খায় সব! প্রতিদিন পাখিরা কেবল ডানা মেলে শহরেও, মিলিয়ে যায় গন্তব্যে দিগন্তে বিলীন। মানুষের নেই কেনো গন্তব্য, আদিগন্ত মিথ্যার বেসাতি কেবল।
তারপর পাখিরা ফিরে গেল। শীতের শেষে ঘরমুখো সব। তুমি শুধু ফিরে এলে না। প্রতিশ্রুতি কেবলি ঝাপসা হয়ে আসে। ক্রমে ক্রমে সব কিছু হারিয়ে যায়। প্রথম দেয়া গোলাপ ফুল শুকিয়ে যায়। মুছে যায় ভিডিওগুলো। ফোনের মেমরি ডিলিট হয়ে যায় তবুও- হাতরে ফিরি স্বপ্নকে, হাতরে ফিরি স্মৃতিকে।।