নরক শূন্য, সব শয়তান এখন এখানে, এদেশে, এ সমাজের, পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রে, প্রতিটি গ্রাম ও শহরে, প্রথমবার তারা আসলো কমিউনিষ্টদের জন্য এবং আমি কোন কথা বলিনি, কারণ আমি কমিউনিষ্ট নই। তারপর তারা আসলো সমাজবাদীদের জন্য এবং আমি কোন কথা বলিনি, কারণ আমি সমাজবাদী নই। তারপর তারা আসলো ব্লগারদের জন্য এবং যথারীতি আমি কোন কথা বলিনি, কারণ আমি ব্লগার নই। তারপর তারা আসলো নাস্তিকদের জন্য এবং আমি কোন কথা বলিনি, কারণ আমি তো নাস্তিক নই। তারপর একদিন তারা আসলো আমার জন্য এবং তখন আর কেউ থাকলো না, কেউই না, আমার পক্ষে কথা বলার জন্য। তবে কি আমরা আর অন্যের জন্য কথা বলবো না? আমরা কি কেবলই পালি...
‘সুবোধ’ তোমার সময় হয়নি জাগার, এখন তোমার পথ নেই পালাবার। বুনো নেকরেরা সন্ধানে একাকার, চারদিক থেকে ঘেড়াও এখন তুমি। আবার তুমি দিক হারা একাকী, বন্ধুরা সব হাহাকার করে ফেরে, স্বদেশ এখন তোমার বিরাণ ভূমি এতো সহজইে মরতে হবে না তোমায়, বীরের মতোই পুনরায় ফিরে এসো। আজকে বিদায় জানাই তোমায় ‘সুবোধ’ এখন ঘুমাও, সময় হয়নি জাগার।।
তাপদাহে ছোট্ শিশুর মন পুড়ে; একচিলটে ছোট্ বারান্দার কোনায়, পড়ন্ত বিকেলে অফিস ফেরতা মা’মনির অপেক্ষায় সময় কাটে তার। হঠাৎ কখনওবা ঠাণ্ডা বাতাসের অল্প একটু রেশ তার কোমল দেহে শান্তির পরশ বুলায়। ছোট্ শিশূ বোঝে না বিশ্ব রা্জনীতি, বিশ্ব মন্দা কি জিনিস! তবু লোডসেডিং তাকেও স্পর্শ করে।
ক্ষীণ আলোয় আসন্ন মুক্তির আশায় একটা লক্ষ্মী পেঁচা হঠাৎ এসে দেখা দেয় কার্তিকের কুয়াসাহীন সকালে; তখন ভোরের শিশির আর গাছের পাতায় সূর্যালোকে ঝিকিমিকি করে না। পাশের গ্রামে ওয়াজে আসা হুজুরের মতে, এসকলই আলামত কেয়ামতের; যখন সব কিছু দুনিয়াতে অন্যরকম হয়ে যায়। দাবানল, খরা, অতিবৃষ্টি, মানুষের মন ও হ্নদয়ে আঁকে বেসামাল অস্থির ছবি। শিশু শ্রেণীর ছোট্ট শিশুসব রঙিন পেন্সিলে ফুল,পাখি, প্রকৃতি আঁকতে ভুলে গিয়ে আঁকতে বসে ঝড় আর জলোচ্ছাসের ছবি। তবে কি এবার থেকে নবান্ন উৎসব, পিঠাপুলি বানের জলে যাবে ভেসে? হায়! মেঠো ইঁদুরের দল সব ছুটে চলে কোন সে হ্যামিলনের পাগল করা বাঁশির সুরে। ব্যাঙ আ...
হারানো বাবা ও ছেলে মাত্র চার বছরের ছেলেটি প্রিয় একজনের হাত ধরে অবাক বিস্ময়ে, আনন্দে আর আগ্রহে, দাঁড়িয়ে আছে সেজান পয়েন্ট সুপার মার্কেটের সামনে। প্রিয় মানুষটাকে জিজ্ঞাসা করলো, আমাকে কেন খেলনা কিনে দেবে? আমি সব পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছি বলে? ছেলেটি একদিন বড় হবে, তখন এই সেজান পয়েন্ট সুপার মার্কেট হয়তোবা থাকবে না অথবা থাকবে, কিছুই আসবে যাবে না তাতে। থাকবে এই সন্ধ্যার স্মৃতি; যেখানে চার বছরে নিজের বাবাকে হারানো ছেলেটি অন্য এক প্রিয় মানুষের হাতের আঙুল ধরে নিজের বাবাকে খোঁজার চেষ্টা করছিল। এমনকি সেই ছেলেটির স্মৃতি থেকেও হারিয়ে যাবে এমন একটি সন্ধ্যা। তবুও শীত এই শহরে, ...