দ্বিতীয় পর্ব নিলয় ভাবে সেকি পাগল হয়ে যাচ্ছ? পৃথিবী জুড়ে করোনার আস্ফালনই এজন্য দায়ী। মানুষের চিন্তা শক্তি নষ্ট করে দেয়। নিলয়ের মনে হয় তার ছেলেবেলার কথা। গ্রামে কেটেছে তার শৈশর আর কৈশোর। গ্রামে থাকতে সে শীত-গ্রীষ্ম পাখির বাসা দেখে বেড়াতো। কত রকম পাখি। ডাহুক, বক, শালকি, ফিঙে, মাছরাঙা আরো কত! কাকের বাসায় নানান জিনিষ পাওয়া যেতো। তাই মাঝে মাঝেই কাকের বাসায় হানা দিতে ভালাে লাগতো নিলেয়ের। বিভিন্নি ধরনের চামচ, সাবান, এমনকি মাঝে মাঝে টাকাও পাওয়া যেতো। সে ভারী মজার ব্যাপার ছিল। কত রকম পাখি আছে যাঁরা কথা বলতে পারে, তবে তা শেখানো বুলি। কিন্তু কাকা তো সেসব পাখির পর্যায়ে পড়ে না। ...
প্রথম পর্ব প্রতি দিনই আসে কাকটি। পাশের বাড়ির ৫ তলার ফ্লাটটি আছে বহুদিন। ফ্লাটটির বারান্দার গ্রিলে কাকটি বসে এসে।মাঝে মাঝে কা কা করে ডাকে। নিলয় কাকটিকে তাড়া দেয়। কিন্তু সহজে উড়ে যায় না সে। বরং চুপচাপ বসে থাকে। বেশ কিছু দিন এভাবেই চলে যায়। আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটে দিন পনেরো পড়ে। তারিখটা নভেম্বরের ১৭। নিলয় তারিখটা মনে রেখেছে। বারান্দায় বসে লেপটপে কাজ করছিল নিলয়। সামনে কফির কাপ আর প্লেটে সেন্ডুইচের আধ খাওয়া অংশ। ঠিক সে সময়ই ঘটনাটি ঘটে। কাকটি স্পষ্ট বাংলায় বলে উঠে, সেন্ডুইচের আধ খাওয়া অংশটি আমাকে ছুঁড়ে দাও তো’। চমকে নিলয় এদিকসেদিক তাকায় কিন্তু কাউকে দেখতে পায় না। সামন...
...সপ্তম পরিচ্ছেদ কফি পান করতে করতে ভালকানের প্রাণীটি বললো,শোনো পারভেজ, আমাকে তুমি ডানকান বলে ডাকতে পারো। তোমার বোন শোভাকে আমাদের দরকার। তোমরা দু’জন ভয়ংকর এক বিপদে পড়তে চলেছো। মারভিলা গ্রহের কিছু স্বার্থপর প্রশাসক ও বিজ্ঞানী তোমাদের দিয়ে পৃথিবীতে তাদের নীতিহীন গবেষণার অপপ্রয়াস চালাতে চাচ্ছে। মারভিলার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলবাসীর কাছ থেকে যখন বারমুডার ঘাঁটি বুঝে নেয় তখনই আমরা সর্তকভাবে মারভিলার বিভিন্ন কার্যপ্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ করা শুরু করি। তবে সত্যিকারভাবে মারভিলার আসল কার্যক্রম প্রকাশ পায় মাত্র দিন পনেরো আগে। আমরা জানতাম যে তারা তোমাকে এবং শোভাকে বেছে নেব...
বাতওয়ালের ক্ষুধা সপ্তম পরিচ্ছেদ আবারো সেই আলোটা পারভেজকে তাড়া কওে ফিরছে। মারভিলা গ্রহের বাসিন্দাদেও নির্দেশ মোতাবেক কম্পিউটার কী-বোর্ডেও এম অক্ষর প্রেস করার পর প্রয়োজনীয় যে নির্দেশ এসেছে তাতে ধাতস্থ হতে না হতেই এই নতুন জ্বালাতন শুরু হয়েছে। মারভিলাগ্রহের নির্দেশ মোতাবেক একটি বিশেষ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়নে এখন থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে শোভা ও পারভেজকে বারমুডায় বিম ডাউন করা হবে। শোভা আর পারভেজ ঠিক করলো পুরো বিষয়টি আর কাউকে জানানো হবে না। তবে পারভেজ তার দৈনিক পত্রিকার অফিসে একটি ইমেল বার্তা পাঠলো। তাতে বিস্তারিত সব তথ্যই দেওয়া হল। পত্রিকার সম্পাদ...
ষষ্ট পরিচ্ছেদ ওঝিমাণ্ডার আগমনের পরে বিড়িগড় পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে আবারো রাত নামে। সেলিম রান্নার যোগারযন্ত্রে ব্যস্ত হয়। আগুন থেকে একটু দূরে বসে শলাপরামর্শ করছেন মিনহাজ সাহেব ও ওঝিমাণ্ডা। সেলিম কফির জন্য কেটলিতে পানি গরম করছে। আপন মনে শিস দিতে দিতে কাজ করছে সে। আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে সে। বড় একটি পাথরের ওপর বসে আছে সেলিম। নাদুসনুদুস একটি হাঁস ঝলসাচ্ছে গনগনে আগুনে। আজই সকালে ওঝিমাণ্ডার সঙ্গে বিড়িগড় জঙ্গলে পরিদর্শনে গিয়ে হাঁস শিকার করেছে সে লেসার আল্ট্রসনিক গান দিয়ে। লম্বা একটি কাঠি দিয়ে আগুনটি মাঝে মাঝে উসকে দিচ্ছে সেলিম। - প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে বাবা সেল...