ক্রমে অস্তিরতা তীব্র হয়। ক্লান্ত পাখির দেহের পাখনা আসে বন্ধ হয়ে; ঘর্মাক্ত দেহ নুয়ে আসে; ক্রমে হয় ন্যুজ্জমান। এ কেমন হতাশাময় জীবন? ‘সুবোধ’রা অস্তিরতায় ক্ষিপ্ত হয়, পালানোর ইচ্ছা ক্রমে ম্লান হয়ে আসে। পলায়নী ইচ্ছা ভুলে ‘সুবোধ’রা প্রতিরোধ গড়ে; গ্রামে-গঞ্জে লোকালয়ে বিপ্লবের ঝলকানি রেখা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠে। ‘সুবোধ’ তুমি জেগে উঠো, নতুন দিন আগত প্রায়, তুমি গেয়ে উঠো মহিমান্বিত সেদিনকে অভিবাদন জানাতে।
ভাইরাস সখ্যতা নিয়ে দিগন্তরেখায় সূর্য অস্তগামী; নিরাশার পাখিরা সব ঘরমুখী অজানা আশংকায়। ঝিঁঝিঁ পোকার একটানা কোরাস স্তব্ধপ্রায়। প্রকৃতিতে উষ্ণতার বৃৃদ্ধি; খড়া ও অতিবৃদ্ধি, বন্যা এবং ভূমিকম্প-সুনামী, সব কিছু ছাপিয়ে শান্তি অন্বেষায়, মানুষের নিরন্তর আহাজারি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।
দিদি ও... দিদি, কুত্তি গেইলেন বারে? দ্যাওক্যা একনা জল, গালাটা শুকি গেইছে, গাওত নাই বল। দাদা কইসলো ঝিতকরি থাক, দেমো এলা জল। ম্যালাদিন তো হয়য়া গ্যালো, খবরে নাই কোনো? তোমরা ক্যাম্বা কতায় নাকন আগ হইছেন বোইনো ? হামার গালাত বল নাই, না আছে জোর খুটিত, কি কইতে কি কয়য়া ফ্যালাং, ফির চিপি ধইরমেন টুটিত। তোমার হাতোত জলের চাবি, তোমাট্টে হইল কল, হামার খালি নল, দিদি দেওক্যা একনা জল। হামার বাড়ি নালমনি, তিস্তা নদীর পার, দিদি আইসেন ব্যারবার। খোয়ামো দই-চিরা দিদি সাথে গুয়া-পান, দিদি কুন্দিন আইস্মেন কন? তোমরা্ তো কন যে একনা জল, তোমাকে না আটে, এ্যাকবার আসি দেখি যান, শ্মশান হামার এ্যাটে। ...
ক্যা বারে মনোহর কাল কুটি গেছলু বারে? একসাথে মাছত গেলাম, যমুনার চড়ত, সগ্লি হামাক থুয়ে আসলা, আর হামি মরি ভয়ত। এমুরা তুমি বইচ্চ, অমুরা বইচ্চে দামান, মাজত বইসলাম হামি, খানিক বাদে দেখি তুমিও নাই দামানও নাই ফাকত পইল্লাম হামি। চিন্তা কল্লাম কুটি আর যাবা? ব্লোকের চিপাত বাম মারিচ্চো, নাহয় মারিচ্চো গোলসা। হামি আচ্চি বোলের আশায়, বোল ই মারমু ভাই, কি আর কোমো, সারা দিনটাই গেল বারে... বোল এর দ্যাখা নাই। ওমুক চায়া দেখি, ওমা! বেলা না তলাছে…, চারিদিকে ঘুটঘুটা আন্ধার, ভয়ে ভয়ে আরেকটা টোপ গাইতলা্ম, টোপও দিছি সেই, ভাইবলাম এডেই শ্যাষ টোপ, মন মতই দেই। আধ ঘণ্টা গেল বাপু নরন চরন নাই, হা...
আমি এখনও পাহারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছি, তবুও বিশ্বাস করি পায়ে পায়ে একদিন ঠিকই পৌঁছে যাব চূঁড়ায়, তুমি মাঝ পথে কখনও আমার হাত ছারতে পারবে না, কারণ তুমি আমার বন্ধু। চৈত্রের খরতাপে আমি পুরে যাবার ভয় করিনা, বৈশাখে কাল বৈশাখীর তাণ্ডব আমাকে ভাবায় না, আষাঢ়ের অঘোষিত কাল মেঘের বুক চিরে যখন তখন নেমে আসতে পারে অঝর ধারায় বৃষ্টি, তবুও জানি তোমার ছাতার নিচে আমার জন্য একটু যায়গা ঠিক বরাদ্দ থাকবে, কারণ তুমি আমার বন্ধু। পৌষের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের রাতে, নরম বিছানা বালিশ ফেলে তোমার সাথে বাইরের খোলা আকাশের নিচে সারারাত আড্ডা দিতে পারি, আমি জানি তুমি আমার জন্য অন্তত খড় কুটো জ্বালি...