নির্যাতনের টেকনিক গ্যাস চেম্বার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ইউরোপে জার্মানীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ার বাহিনী ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলো। মুক্ত করলো জার্মানীর অধিকৃত এলাকাগুলো। নির্যাতন শিবিরের বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো উঠে দাঁড়ালো আবার এবং মুক্ত নারী ও পুরুষ হিসেবে হেঁটে গেলো। তারা অলৌকিকভাবে ফিরে গেল জীবনের স্বাভাবিকতায়। তাদের কেউ দর্জি বা স্বর্ণকার, ডাক্তার এবং লেখকের পেশা গ্রহণ করলো। কেউবা প্যালেস্টাইন চলে গেল এবং আরেকটি যুদ্ধে লিপ্ত হলো, যা আজও চলছে।
আমরা তাদের এখন জেরুজালেম, টরেন্টো বা লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার মানুষের ভিড়ে খুঁজে পাবো না যদি না তাদের হাতের কব্জিতে নাৎসি বাহিনীর আঁকা নম্বর দেখতে না পাই। তারা পিছনে ফেলে গেছে লক্ষ লক্ষ স্যুট, কোট, অন্যান্য পোশাক (এবং যারা Auschwitz এ জীবন উৎসর্গ করেছে).. আর সাত টন চুল এবং একই পরিমাণের জুতো, আইগ্লাস, রান্নার সামগ্রী এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি। কানাডা গুদামের ৩৫টির মধ্যে মাত্র ৬টির হিসেব এখানে দেওয়া হয়েছে। বাদবাকিগুলো জার্মানরা পুড়িয়ে দিয়ে যায়। এই বন্দীদের স্মৃতি থেকে কখনও মুছে যাবে না সেই মুহূর্তটি যখন একজন চকচকে বুট পরা লম্বা লোক তাদের মৃত্যুর জন্য আদেশ দিত। ইয়ামবারগার চোখ বুঁজলে এখনও দেখতে পায় ছোট ছেলেটিকে, যে তার ছোট ভাই ছিল, যাকে টেনে নেওয়া হয়েছিলো তার হাত থেকে এবং আরেক দিকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।
ইয়ামবারগারের ভাষায়, ‘বহুদূর থেকে আমি দেখতে পাই ছোট্ট ছেলেটিকে, সে হারিয়ে যায় হাজার মানুষের ভিড়ে, কেঁদে ওঠে তার মায়ের জন্য। আমি আশা করি তার মামনিকে সে খুঁজে পেয়েছিলো এবং তারা দুজনে একসাথেই মৃত্যুর নিষ্ঠুরতায় হারিয়ে গিয়েছিল।’
জার্মানীর Auschwitz এ যা ঘটেছিলো তা কি থেমে গেছে পৃথিবী থেকে? না‘কি নতুনভাবে ঘটে চলেছে আজকের গাজা অথবা ইউক্রেনে?
পৃথিবীর মানুষ কি সত্যি এতো নিষ্ঠুরতা ভুলে যাবে?