পর্ব ৬ আবেদ মন্ডলের ছোট ছেলে হানিফ ধরা খায় বেনাপল সীমান্তে বিজেপির হাতে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী তিন ছেলে, জসিম, শিহাব ও জাবেদ মন্ডলের হদিস মেলেনি এখনও। অনেকে বলে তারা সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোা বলছে তারা দেশের ভিতরেই পালিয়ে আছে। শীঘ্রাই তারা ধরা পড়বে পুলিশের হাতে। পুলিশ ক্রমেই তাদের জাল গুটিয়ে আনছে। মন্ডলবাড়ির তিন ছেলে এই ধরা পড়লো বলে। এদিকে আবেদ ম-লের ঘটনাকে পুঁজি করে ঢাকা মহানগরীতে প্রচুর সেমিনার- ওয়ার্কশপ হচ্ছে। সমাজের বিশিষ্ট চিন্তাবিদরা বৃদ্ধ বয়সে মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ বক...
সোনার গাঁর মেয়ে কাজি আফসার উদ্দিন আহমদ ৪. আকাশ ভর্তি আলো। আলোময় দিক পারাবার। খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘ দল এলোমেলো উড়ছে হারিয়ে যাচ্ছে আকাশের সব প্রান্তে চর্তুদিকে। মৃদুমন্দ বাতাস মনপ্রাণ জুড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। গাঁয়ের জোয়ান মর্দ সকলেই এসে নেমেছে দুপা জমিতে। রাতের মধ্যেই সব ক্ষেতের ধান কেটে নিয়ে তুলতে হবে আখড়ার উঠোনে, তারপর কাল ভোরে যার যার আঁটি নিয়ে তুলবে ঘরে। ওদিকে এ্যাজমাইলি ব্যবস্থায় বাতাসী রাঁধছে খিচুরী চালে ডালে কাঁচা লঙ্কায়। সকলের মুখপেট ভরিয়ে দেবে সে- বাজী ধরে যারা খেতে চাইবে, তাদেরও শখ মিটিয়ে দেবে। রাঁধছে মেলাই। এই সংবাদে ছোকড়াদের মধ্যে লেগেছে দূরন্ত রেশারে...
সোনার গাঁর মেয়ে (কাজি আফসার উদ্দিন আহমদ) ২. পয়মন্ত বাতাসীর দৃষ্টি ছিল তীক্ষ্ম। তার মধ্যে যা ছিল অদ্ভূত সে হলো যাই করবো সকলের জন্যে, গাঁয়ের সকলের জন্যে। পাট মওসুমে পাট বিক্রির বেলা দেখা গেল, গাঁয়ের সকল চাষীর বাড়ীর ভিতরকার খবরা খবর তার নখাগ্রে। সকলকে বলে বুঝিয়ে সময়মত গাঁ শুদ্ধ সকলের মোট পাট ছাড়লো সে বাজারে, ফরিয়াদের ফাঁদে পা দিতেই দিলো না বাতাসী। বাতাসীর কথা চিরকাল ফলছে অক্ষরে অক্ষরে। এবারেও তাই হলো। এক পাট বিক্রির টাকা গাঁয়ের সকলের ভাগ্যে মিললো দু গুণ। ব্যাপারটিা সহজ নয়। গাঁয়ের ছোটবড় মাতব্বর শ্রেণীর লোকেরাও সকলের সমবেত আয়োজনের ফলাফল লক্ষ্য করে বাতাসীর তৎপরত...
সোনার গাঁর মেয়ে কাজি আফসার উদ্দিন আহমদ ১. সোনার গাঁর সব সেরা মানুষ বাতাসী। সরকার বাড়ির সেই সর্বেসর্বা। শুধু সরকার বাড়ির কেন, সোনার গাঁর সে এক অদ্ভুত আকর্ষণ। সরকার সাবের এন্তেকালের পর সরকার বউ সরাসরি বাতাসীকে ডেকে এনে তুলেছে আপন বাড়িতে। সোনার গাঁর সকলের মানুষ তুমি। উপকারী মানুষ। তবু আজ সব হারিয়ে আমি একলাই তোমার সাহায্য চাই বাতাসী। আগে আমাদের বেঁচে বর্তে থাকতে দাও। তারপর তুমি যা ভালো মনে করবে তাই করবে। আমরা আর বাধা হবো না। বড়ো ঘরের মেয়ে, ঘরের বউ সরকার গিন্নি। গাঁয়ের মেয়ে বাতাসী সব কাজে নিপুণ্য। আর, না করতে পারেনি। লেগে গেছে সরকার বাড়িতেই। সরকার বউ তাকে ছাড়া ...
জিন্দা লাশ পর্ব-৫ অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে আবিদ মন্ডল একসময় ফুলছড়ি গ্রামে পৌঁছে যায়। সেখানেই আওলাদ মিস্ত্রির সঙ্গে পথে তার দেখা হয়। এই গ্রামে কেন সে ঘুর ঘুর করছে সেকথা বলে আওলাদ তাকে বকা দেয়। ক্লান্ত শ্রান্ত আবিদ মিস্ত্রি স্থান ত্যাগ করে। সারাটা দিন সে বড় একটা আম গাছের নীচে পার করে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। আধ ঘুম, আধ জাগরণে আবিদ মন্ডল একসময় ফুলছড়ি গাঁয়ের ভিতরে প্রবেশ করে। করিমন ব্যাপারীর খড়ের গাঁদাই তার শেষ আশ্রয়স্থল হয়। তারপর সরকারি হাসপাতালে। ফুলছড়ি গ্রামের জিন্দা লাশের আসল পরিচয় এবং আসল ঘটনা উদঘাটন করে ওসি নূরুদ্দিন নিজের দক্ষতা ও প্...