পর্ব ৬
আবেদ মন্ডলের ছোট ছেলে হানিফ ধরা খায় বেনাপল সীমান্তে বিজেপির হাতে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী তিন ছেলে, জসিম, শিহাব ও জাবেদ মন্ডলের হদিস মেলেনি এখনও। অনেকে বলে তারা সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোা বলছে তারা দেশের ভিতরেই পালিয়ে আছে। শীঘ্রাই তারা ধরা পড়বে পুলিশের হাতে। পুলিশ ক্রমেই তাদের জাল গুটিয়ে আনছে। মন্ডলবাড়ির তিন ছেলে এই ধরা পড়লো বলে।
এদিকে আবেদ ম-লের ঘটনাকে পুঁজি করে ঢাকা মহানগরীতে প্রচুর সেমিনার- ওয়ার্কশপ হচ্ছে। সমাজের বিশিষ্ট চিন্তাবিদরা বৃদ্ধ বয়সে মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখছেন। এসব সেমিনার- ওয়ার্কশপের চা বিরতিতে থাকছে চা কফিসহ কেক, সমোচা, সিঙ্গারা ভেজিটেবল রোলসহ নানা সুস্বাদু খাবার। অনেক সেমিনার শেষে মিলছে প্যাকেট লান্স। যদিও আবেদ ম-ল জানে না এসবের কিছুই। তার আশ্রয় হয়েছে সরকারি প্রবীণ নিবাস কেন্দ্রে।
সরকারি প্রবীণ নিবাস কেন্দ্রেও সে বিভিন্ন বিধিমালার জালে বন্দি জীবনযাপন করছে। তার ওপর তার বয়সী কিছু অতি উৎসাহী প্রবীণ মানুষ নানা বিচিত্র ধরনের প্রশ্ন করছে তাকে। আজই তিনি জানতে পেরেছেন প্রবীণ আসলে তিন ধরনের, ৬০-৭০ বয়সীরা তরুণ প্রবীণ, ৭০-৮০ বছর বয়সীরা মধ্যম প্রবীণ এবং ৮০ থেকে বেশি বয়সীরা অতি প্রবীণ।
আবেদ ম-লের বয়স এখন ৭১, তারমানে সে তরুণ প্রবীণ। এতো কষ্ট আর বিভ্রান্তির মধ্যে হাসি পায় আবেদের ‘তরুণ প্রবীণ’! এখন কি‘না সে তরুণ প্রবীণ থেকে মধ্যমের দিকে এগিয়ে চলেছে। কী বিচিত্র এই জীবন! (চলবে)