সাম্প্রতিক প্রকাশনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনধারা হয়তো প্রভাবিত করবে. তবে পুরোপুরি পাল্টে দিতে পাবে না কোনদিন

আলতামাস পাশা লেখাটি পড়েছেন 90 জন পাঠক।
 আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কথা খুব শোনা যাচ্ছে। এর আগে রোবট নিয়ে অনেক হইচই হয়েছে। বলা হয়ে থাকে এই রোবট নাকি চর্তুথ শিল্প বিপ্লবে প্রাণকাঠি হিসেবে কাজ করবে। মানুষের শ্রমের চাহিদা কমে আসবে।সব কিছুর অটোমেশন হবে। বাস্তবে মানুষের শ্রমবাজার কিন্তু কমে আসেনি। কারণ রোবট বা রোবট আদলের চ্যাটবট যত যাই করুক না কেন সে কোন দিনই বটবৃক্ষ হতে পারবে না। মানুষের যেমন জ্ঞানের সীমা আসে। সেই সীমার বাইরে যেমন সে যেতে পারে না, পারবেও না।তেমনি সেই মানুষের হাতে বানানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও সীমা্র বাইরে যেতে পারবে না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে কাজ করে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সাধারণত অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে ফলাফল ও অনুমান জানিয়ে থাকে। মানুষ বেশি কাজ করলে ক্লান্ত হয়ে যায়, বিরতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিরতির প্রয়োজন নেই।
একসঙ্গে হাজার হাজার কাজ দ্রুত করার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে নতুন অনেক বিষয় শিখতে পারে। মূলত আগের তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির লক্ষ্য হলো এমন একটি কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের আচরণ ও চিন্তাশক্তির আদলে জটিল সমস্যার সমাধান করবে। নির্ভুল তথ্যের পাশাপাশি মানুষের আদলে বুদ্ধিমত্তা থাকায় সাইবার নিরাপত্তা, ভিডিও গেমস, নকশা, স্মার্ট গাড়ি, ডেটা সেন্টার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিরও উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রও উন্নত হয়ে উঠছে, যা একদিন মানুষের মস্তিষ্কের আদলে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারবে। (চলবে) 

পাঠকের মন্তব্য


একই ধরনের লেখা, আপনার পছন্দ হতে পারে

bdjogajog