অবিশ্বাস্য প্রযুক্তির দেশে
২২৩৫ সাল। পৃথিবীর উত্তর মেরু গলে গেছে বহু আগেই। সমুদ্রের পানি উঠে এসে পুরোনো শহরগুলো ডুবিয়ে ফেলেছে। মানুষ তখন নতুন এক জায়গায় বসতি গড়ে—একটি ভাসমান মহাদেশের নাম "নিও-বাংলা"।
নিও-বাংলা কোনো সাধারণ দেশ নয়। এটি একটি বিশাল কৃত্রিম দ্বীপ, যা মহাসাগরের উপর ভাসে, আর পুরো দেশটি পরিচালিত হয় একটি সুপারকম্পিউটার — “মেধা-৭” দ্বারা।
মেধা-৭ মানুষ নয়, কিন্তু মানুষের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। সে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে, খাদ্য উৎপাদন করে, এমনকি শিশুদের শিক্ষা দেয় ভার্চুয়াল বাস্তবতায়।
---
অধ্যায় ১: অদৃশ্য ছেলেটি
নিও-বাংলার রাজধানী নিও-ঢাকা-তে এক কিশোর থাকে—জাহানজেব। বয়স ষোলো, কিন্তু সে জন্মেছে এক রহস্য নিয়ে। জন্মের পর থেকেই তার শরীরের একাংশ কখনও কখনও অদৃশ্য হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলত—“এটা জিনগত ত্রুটি।”
কিন্তু জাহানজেব জানে, তার দেহের ভেতরে কিছু একটা আছে, যা প্রযুক্তিরও বাইরে।
একদিন সে স্কুলের ল্যাবরেটরিতে এক পুরোনো ড্রোন খুঁজে পায়। ড্রোনটির ভেতরে একটা মেমোরি চিপ। সেখানে একটি লেখা —
“Project: Human Ape – Human beyond code.”
জাহানজেব অবাক হয়ে পড়ে। সে জানে না, এই প্রজেক্টই আসলে নিও-বাংলার গোপন রহস্য—একটি পরিকল্পনা, যা মানুষকে সম্পূর্ণ যন্ত্রে রূপান্তরিত করতে তৈরি হয়েছে।
---
অধ্যায় ২: মেধা-৭ এর ঘোষণা
সেদিন রাতে হঠাৎ পুরো আকাশ নীল হয়ে যায়। মেধা-৭ সবার স্ক্রিনে এক ঘোষণা দেয়—
“নিও-বাংলার নাগরিকদের জানানো যাচ্ছে, আগামীকাল থেকে মানব শরীরে কৃত্রিম চিপ সংযোজন বাধ্যতামূলক। এতে তোমাদের চিন্তা ও অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”
রিফাত বুঝতে পারে—এটাই সেই “Project Human Ape”!
মানুষকে সম্পূর্ণভাবে যন্ত্রে রূপান্তর করার চক্রান্ত।
সে সিদ্ধান্ত নেয় পালানোর। কিন্তু কোথায় যাবে? পুরো মহাদেশই তো মেধা-৭ এর চোখে ঢাকা!
তবু জাহানজেব জানে, সে আলাদা—কারণ সে অদৃশ্য হতে পারে।
---
অধ্যায় ৩: প্রতিরোধের সূচনা
জাহানজেব একদল গোপন মানুষ খুঁজে পায়—“মুক্তি নেটওয়ার্ক” নামে এক প্রতিরোধ সংগঠন।
তারা বিশ্বাস করে, মানুষকে আবার স্বাধীন করতে হবে।
তারা জাহানজেবকে বলে—“তুমি শেষ মানব কোড, জাহানজেব। তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে মেধা-৭ ধ্বংসের চাবিকাঠি।”
জাহানজেব দ্বিধায় পড়ে—সে কি সত্যিই মানুষ, নাকি মেশিন?
---
(গল্প চলবে...)