ক্যা বারে মনোহর কাল কুটি গেছলু বারে?
একসাথে মাছত গেলাম, যমুনার চড়ত,
সগ্লি হামাক থুয়ে আসলা,
আর হামি মরি ভয়ত।
এমুরা তুমি বইচ্চ, অমুরা বইচ্চে দামান,
মাজত বইসলাম হামি,
খানিক বাদে দেখি তুমিও নাই দামানও নাই
ফাকত পইল্লাম হামি।
চিন্তা কল্লাম কুটি আর যাবা?
ব্লোকের চিপাত বাম মারিচ্চো,
নাহয় মারিচ্চো গোলসা।
হামি আচ্চি বোলের আশায়,
বোল ই মারমু ভাই,
কি আর কোমো, সারা দিনটাই গেল বারে...
বোল এর দ্যাখা নাই।
ওমুক চায়া দেখি,
ওমা! বেলা না তলাছে…,
চারিদিকে ঘুটঘুটা আন্ধার,
ভয়ে ভয়ে আরেকটা টোপ গাইতলা্ম,
টোপও দিছি সেই,
ভাইবলাম এডেই শ্যাষ টোপ,
মন মতই দেই।
আধ ঘণ্টা গেল বাপু নরন চরন নাই,
হাতমুখ ধুলাম, ব্যাগও গোছালাম,
চিন্তা কইল্লাম আজ আর হবাল্লয়,
শিপটাও গোটাই…।
যেইনা সিপত হাত দিছি, কি কমো ভাই?
হর হরি টান ধইচ্ছে, মনে হচ্চে হামি নাই।
ইচ্চা মতন খিয়াল দিলাম, কদ্দুর যাবু যা,
মাছও টানে হামিও টানি, পিছলা গেল পা।
কম হলিও আট কেজির বোল, সহজে কি বাপু ছাড়ে,
এইযে তোক ডাকি, তুই কুটি গেছলু বারে?
অনেক কুস্তা-কুস্তির পর ওক তুল্লাম ধারত,
গালসির চিপাত বাঁশ বাজাছি, এক টানে ঘারত।
দিলাম হাটা, ফুরায়না ঘাটা, গাড়ি ঘোড়াও নাই,
কোন রকম বাড়ীত আলাম বুকত উঠছে ধরফর,
মনে হয় তরাইসসা হচি, গাওত আসিচ্ছে জর,
আর যামনা মাছত বাপু, হামাক এনা ধর।
বিঃদ্রঃ [বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা একটি কবিতা]