এখনও জোনাকি পোকারা গ্রীষ্মের কোন এক দীর্ঘ রাতে প্রকৃতিতে আলোর নির্দেশনা দেয়
অন্ধকার ঘন হয়ে এলে;
আধুনিকা, তিলোত্তমা শহরের ফ্লোরেসেন্ট আলোর নীচে জোনাক পোকার লুসিফারিণের আলো এখন বড্ডো বেশি বেমানান লাগে।
জলবায়ু, আবহাওয়া, বিশ্বমন্দা,
যতোসব তাত্ত্বিক কথা, হারানো গেছে তাই;
প্রেম, প্রকৃতি, বাস্তুতন্ত্র ইত্যাদি, মৌলিক গাঁথায় বোনা হবে শীতের লেপ-কাঁথা।
ড্রোন আর মিশাইলের আন্তরিক বন্ধুত্বে বিচলিত ঘাস ফড়িং, লক্ষ্মিপেচাঁ,
মেঠো ইদুঁরেরা বাস্তুহীন ছুটে চলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ পানে;
শুধু পুড়ে যাওয়া ঘাস, অরণ্য অপলক চেয়ে থাকে
নিশুতি রাতে অগণিত নক্ষত্রের দিকে,
সেখানেও একদিন পৌঁছে যাবে কর্পোরেট নভোযান নতুন বাণিজ্যের খোঁজে,
তখনও মানুষ কেবল কবরে শুয়ে রবে নক্ষত্রের পানে চেয়ে।।