আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কথা খুব শোনা যাচ্ছে। এর আগে রোবট নিয়ে অনেক হইচই হয়েছে। বলা হয়ে থাকে এই রোবট নাকি চর্তুথ শিল্প বিপ্লবে প্রাণকাঠি হিসেবে কাজ করবে। মানুষের শ্রমের চাহিদা কমে আসবে।সব কিছুর অটোমেশন হবে। বাস্তবে মানুষের শ্রমবাজার কিন্তু কমে আসেনি। কারণ রোবট বা রোবট আদলের চ্যাটবট যত যাই করুক না কেন সে কোন দিনই বটবৃক্ষ হতে পারবে না। মানুষের যেমন জ্ঞানের সীমা আসে। সেই সীমার বাইরে যেমন সে যেতে পারে না, পারবেও না।তেমনি সেই মানুষের হাতে বানানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও সীমা্র বাইরে যেতে পারবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়া...
পর্ব-৩ যথন আফ্রিকার রুয়ান্ডারা তাদের প্রতিবেশীকে মিটিয়ে মারে লাঠির আঘাতে তখন আমরা একে মানবিক আচরণের দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করি। আমরা এই অবস্থায় বলে থাকি যে, মানুষের এই প্রবণতা কখনও পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু Auschwitz ছিল পৃথিবীর বুকে একটি নতুনতর পৈশাচিক গণহত্যার ঘটনা। এখানে এর ব্যাপক প্রকৃতির মেকানিজম ব্যবহার হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যু শিবিরে পরিবহনে, হত্যাকান্ডে। একদিনে মধ্যেই এসব মানুষকে পুড়িয়ে ভস্মে পরিণত করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াকে মানুষকে মেরে ফেলার একটি শিল্পায়ন হিসেবে হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা যায়। এর থেকে যে ভীতিকর সম্ভাবনার সৃৃষ্টি হয় তা হচ্...
নির্যাতনের টেকনিক গ্যাস চেম্বার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (ধারাবাহিক কাহিনী) পর্ব-২ বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপকতার কারণে পৃথিবীর মানুষ Auschwitz এর ঘটনা তেমন গুরুত্বারোপ করেনি। সেসময়কার নিউইর্য়ক টাইমসের বড় খবর ছিল এই যে, সোভিয়েত বাহিনী বাল্টিক অঞ্চল দখন করে নিয়েছে। সোভিয়েত রেড আর্মির দখল করা বহু নগরীর তালিকার মাঝে Oswiecim (Auschwitz এর পোলিশ ভাষার নাম) বিস্মৃতপ্রায় ছিল। এই স্থানটি তখন দৃশ্যত ভুতুরে শহরে পরিণত হয়েছিলো। শহরটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার সমান। এই শহরের অর্ধ লক্ষ মানুষের অধিকাংশই পিছনে ফেলে গেছে তাদের মাথার চুল এবং পুরে যাওয়া দেহের গন্ধ। এতো কিছুর পরেও ১৯৪৫ সালে...
নির্যাতনের টেকনিক গ্যাস চেম্বার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (ধারাবাহিক কাহিনী) পর্ব-১ Auschwitz এর শেষ দিনগুলো ইউরোপে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়। সময় ১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, দুপুরবেলা। স্থান, নাৎসী বাহিনীর অন্যতম বন্দি শিবির Auschwitz। ত্রিশ বছর বয়সী ওলন্দাজ ইহুদি সাল ডি লিমা বন্দি শিবিরের বাইরে বরফের ওপর এসে দাঁড়ালো। পাঁচ মাস আগে এই বন্দি শিবিরে নাৎসী জার্মানরা তাকে নিয়ে এসেছিলো। জার্মানরা ক্যাম্প থেকে সরে যাবার পর নয় দিনের দিন লিমা মুক্ত আকাশের নিচে এসে দাঁড়ালেন। জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে তিনি আশংকা করছিলেন যে জার্মান এসএস বাহিনী ব্যারাকের সাথে তাকেও উড়িয়ে ...
নির্যাতনের টেকনিক গ্যাস চেম্বার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ইউরোপে জার্মানীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ার বাহিনী ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলো। মুক্ত করলো জার্মানীর অধিকৃত এলাকাগুলো। নির্যাতন শিবিরের বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো উঠে দাঁড়ালো আবার এবং মুক্ত নারী ও পুরুষ হিসেবে হেঁটে গেলো। তারা অলৌকিকভাবে ফিরে গেল জীবনের স্বাভাবিকতায়। তাদের কেউ দর্জি বা স্বর্ণকার, ডাক্তার এবং লেখকের পেশা গ্রহণ করলো। কেউবা প্যালেস্টাইন চলে গেল এবং আরেকটি যুদ্ধে লিপ্ত হলো, যা আজও চলছে। আমরা তাদের এখন জেরুজালেম, টরেন্টো বা লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার মানুষের ভিড়...