তুমি আর আসো না,
এখন আর তুমি ঝরা পাতায় শব্দ তুলে আমার কাছে আসো না।
সময় কেটে যায় ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ড করে।
এখন আর আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে না।
এই শহরে এখন প্রচন্ড খরা।
নীল আকাশে কিছু আবাবিল পাখি তোমার অপেক্ষায় থাকে।
বিকেলের ক্লান্ত রৌদ্দুর গাছের পাতাগুলোকে সোহাগ ভরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়, তবু তুমি আসো না।
শহরের কোলাহল মুখর যানবাহন আর মানুষের ভিরে তোমাকে একটিবারও খুঁজে পাই না।
ভার্সিটির বিকেলের কøাস শেষে কলা ভবনের গেট পেরিয়ে যখন রিকশা খুঁজি,
চারপাশ ভালো করে দেখে নেই, কোথাও তুমি আছো কি’না।
চায়ের দোকান অথবা ডাসে কোথাও তুমি নাই।
টিএসসির সবুজ ঘাসের ওপর দুটো শালিক আপন মনে খেলা করে, তুমি বলতে দুটি শালিক সুখ বয়ে আনে।
বাসায় ফিরে লেটার বক্্র খুলি, নাহ্ সেখানেও তুমি নাই।
আনমনা কবিতা পড়ি, গেমস খেলি,
অর্থহীন স্পর্শ করি স্মার্ট ফোনে, কিন্তু নাহ্ সেখানেও তুমি নেই।
আসলে তুমি এ শহরের কোথাও নাই।
এ শহরের সীমানার বাইরেও নাই, সীমানার ভেতরেও নাই।
তা’হলে?
কোথায় থাকা হয় তোমার এখন?