নিলয় কাক সম্পর্কে একটি বিজ্ঞান জার্নাল পড়ছিল। এখানে একটি নিবন্ধে কাক সম্পর্কে বহু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে কাকের কিছু ব্যতিক্রমী মানসিক দক্ষতা রয়েছে। কাক যুক্তি দিয়ে সমস্যা সামাধান করে যা অনেক ক্ষেত্রে বানরদের বা শিম্পাঞ্জীদের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাড়িয়ে যায়।
এ গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, কাক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য সমাধান যাচাই, একটি কার্যকর সমাধান নির্বাচন এবং প্রথমবারেই নির্ভুল প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে যা অনেক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীও করতে পারে না।
গতকাল বিকেলে বিশ্বের সাতজন সেরা পাখি বিশেষজ্ঞ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সাংবাদিকদের কাক সম্পর্কে তারা সংক্ষিপ্ত একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করলেন। তাদের বর্ণনা অনুসারে কাক সরল যন্ত্রপাতি বানাতে পারে না শুধু, তারা অপেক্ষাকৃত জটিল সমস্যার সমাধানও করতে পারে। তারা এমনকি ভেন্ডিং মেশিন থেকে খাবার বের করার জন্য কাগজের টোকেনও বানাতে পারে। তবে এই কাকের প্রজাতি হচ্ছে ‘নিউ ক্যালেডোনিয়ান ক্রো’। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি।
সম্প্রতি নিউরোবায়োলজিস্টরা দেখতে পেয়েছেন যে, কীভাবে বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কাকের মস্তিক বিভিন্ন বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ করে অবিকল মানুষেরিই মতো।
যদিও কাক এবং মানুষের পূর্ব-পুরুষ ভিন্ন। আর এর মাধ্যমে হয়তো স্তন্যপায়ী নয় এরকম প্রাণীদের মস্তিষ্কের ভেতরের কাজগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা যেতে পারে। (চলবে)