সাম্প্রতিক প্রকাশনা

সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধ

আলতামাস পাশা লেখাটি পড়েছেন 256 জন পাঠক।
 সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধ

আজকের পৃথিবীতে কম্পিউটার খুবই দরকারী একটি বিষয়। কিন্তু সেই কম্পিউটারই জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন সমস্যার যা জলজ্যান্ত অপরাধের পর্যায়ে পড়ছে। একুশ শতকে দাঁড়িয়ে করার আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে আমরা যখন কম্পিউটার, ইন্টারনেটের সাহায্যে পৃথিবী জয়ের কথা ভাবছি, ঠিক তখনই আমাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে যে নতুন অপরাধের সাথে তা হচ্ছে, ‘সাইবার ক্রাইম বা কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধ। সাধারণ চুরি থেকে আরম্ভ করে কোনো দেশের সবচেয়ে গোপন সামরিক খবর বের করা এ সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ছে। আসলে বছর দশেক আগে সায়েন্স ফিকশন গল্পেও কেউ ভাবতে পারেনি যে, শুধুমাত্র কী-বোর্ডে হাত রেখে ঘরে বসে জঘন্যতম অপরাধ করে ফেলা যাবে। অপরাধীর মূলধন, গায়ের জোর, বন্দুকের জোর কোন কিছুই লাগবে না। শুধুমাত্র নিজ বুদ্ধি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর জোরে পরম ধৈর্যের সাথে এসব বিপথগামী তরুণ প্রতিভাবান সারা পৃথিবীতে মুহূর্তে প্রলয় ঘটিয়ে দিতে পারে।

কীভাবে কম্পিউটার ব্যবহার হবে তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপরেই- আজকের দিনে পৃথিবীর যাবতীয় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, তা সে রেলওয়ে, সামরিক ব্যবস্থা বা মহাকাশযাত্রা যাই হোক না কেন, সবই পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড। তাই হ্যাকিং বা অন্য কোনও ভাবে কেউ যদি সেসব ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে তা'হলে যে কি সাংঘাতিক বিপদ ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়।

সাইবার ক্রাইমের শ্রেণি বিভাগ

সাইবার ক্রাইমকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত, সাধারণ অপরাধ, যা কম্পিউটার ব্যবহার করে করা হয়। দ্বিতীয়ত, সেসব অপরাধ যা শুধুমাত্র কম্পিউটারের সাহায্যে করা যায়। এটি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, সারা পৃথিবী জুড়েই এ দু’ধরনের অপরাধ বাড়ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বছরখানেক আগেও কল্পনা করা যেত না যে বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইম ঘটতে পারে। তবে এখানে যেটুকু ঘটছে তা সাধারণ অপরাধের পর্যায়েই পড়ছে। যেমন কম্পিউটার ব্যবহার করে ওয়েব সাইটে রুচিহীন বা অশ্লীল ওয়েব পেজ হোস্ট করা, ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করা।

ব্যাংকের ক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইম

কোনো একটি বিশেষ ব্যাংকে হয়তো আপনার একাউন্ট আছে। সে একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন হয়। এখন ঐ ব্যাংকের কোনো কর্মচারী যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতিদিন নিয়ম করে সামান্য খুচরো টাকা ঐ একাউন্ট থেকে সরায় তা’হলে তাকে কে ধরতে পারবে? আর সাইবার ক্রাইমের একটি বড় সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে ই-কমার্সের কারণে। যেহেতু এখন ইন্টারনেটের সাহায্যেই বহু মানুষ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে, বেচাকেনা করছেন, তাই সেখানে তাই সেখানে জালিয়াতির আশ্রয় নিলে চট করে ধরা বের কষ্টকর। তবে আমাদের মতো দেশের চেয়ে পৃথিবীর চেহারা অবশ্য অন্যরকম। যেমন অন্যান্য অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে নতুন ও সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক হল ‘সাইবার টেররিজম’। পৃথিবীর অন্যতম উন্নত দেশ মার্কিন য্ক্তুরাষ্ট্রে এ অপরাধ ঘটার হার ও স্ম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণটিও বিচিত্র নয়। উন্নত দেশ হবার কারণে আমেরিকার অধিকাংশ ব্যবস্থাই পুরোপুরি 

কম্পিউটারাইজড। আমরা একটি কাল্পনিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করতে পারি। একজন ‘টেররিস্ট’ কেবলমাত্র কী-বোর্ডে তার আঙুল ছুঁয়েই সারা যুক্তরাষ্ট্রের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি স্টক মার্কেটের কাজকর্ম সম্পূর্ণ বানচাল করে দিতে পারে। অর্থনীতিকেও করতে পারে সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কোনো ওষুধ কোম্পানির গোপন সাইটে ঢুকে ওষুধের উপাদান পাল্টে দিয়ে বা বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর বন্দোবস্ত করে ওভারডোজ বা অ্যালার্জি থেকে মহামারী শুরু করে দিতে পারে। এমনকি পাল্টে দিতে পারে গ্যাসলাইনের মধ্যের চাপ, যার ফলে হতে পারে বিস্ফোরণ। বিকল করতে পারে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আর গোপন সামরিক তথ্য যে বার করা সম্ভবপর তা তো ইতিমধ্যেই  প্রমাণিত হয়ে গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্তমানে সাইবার টেররিজম নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত। আর অসুবিধা হল, এ সন্ত্রাসীদের থামাতে তো অত্যাধুনিক অস্ত্র কোনোই কাজে আসবে না। বরং লাগবে কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞান। সেদিন বোধ করি বেশি দূরে নয়, যেদিন সামরিক ব্যবস্থার অন্যতম হবেন একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।?
 
কেমন করে থামানো যাবে সাইবার ক্রাইম?

কম্পিউটারাইজড এ বিপদ সামলাতে দরকার আরও উন্নতমানের কম্পিউটারাইজড সিস্টেম এবং উন্নতমানের কম্পিউটার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা, সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে গোপনে রাখবে। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে যাতে জালিয়াতি না হয় সেজন্যে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল সিগনেচার। এ ব্যবস্থায় ব্যবসা করা দু’পক্ষের কাছেই একটি করে সাংকেতিক চাবি থাকবে এবং উভয় পক্ষের চাবি মিললেই  ব্যবসার লেনদেনের কাজ শুরু করা যাবে। বিশেষ একটি সংস্থা এ চাবিটি প্রদান করবে। এ ছাড়া হ্যাকিং এড়াতে রয়েছে ”ফায়ার ওয়াল সফটওয়্যার” অর্থ্যাৎ আমাদের দেহে যেমন বাইরে থেকে কিছু ঢুকে পড়লে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একের পর এক প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তোলে এ প্রতিরোধ ব্যবস্থাটিও অনেকটি সেভাবেই কাজ করে।

‘আই লাভ ইউ ভাইরাস’

‘আই লাভ ইউ ভাইরাস’ এ তিনটি শব্দ প্রায় গোটা পৃথিবীকে থামিয়ে দিয়েছিল  কয়েক বছর আগে। এ ভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে শুধু লাখ লাখ কম্পিউটারই বিকল হয়নি, সকল বিশেষজ্ঞই এবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এর পূর্বে এতো শক্তিশালী ভাইরাস আর আসেনি। মেলিসার মতো পুরানো ভাইরাসগুলোর যেখানে কাজ শুরু করতে দিনকয়েক লাগতো, সেখানে ‘আই লাভ ইউ ভাইরাস’ ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই কম্পিউটারে ভাইরাসের মহামারী ঘটিয়ে দিতে সক্ষম। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ইংল্যাল্ডের হাউস অব কমনস, আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগ। সুইডেন বা জার্মানির মতো দেশের ৮০ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হবার যোগার হয়েছিল। এমনকি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ’র নির্বাচন কর্মকাণ্ড ও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে কাজ করেছিল এ ভাইরাস? কাজের ধরনটি অবশ্য খুব জটিল নয়। ধরা যাক, হ্যাকারের পাঠানো ভাইরাস ঢুকে পড়লো কোনো এক কম্পিউটারের মাইক্রোসফট আউটলুক প্রোগ্রামের ভেতর। এবার ফাইল অ্যাটাচমেন্টটি খোলামাত্রই শুরু হল পরবর্তী কাজ। মোটামুটি তিনভাবে এ ভাইরাস কাজ করতে শুরু করে। প্রথমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ‘অ্যাড্রেস বুক’ খুঁজে বের করে পাওয়া প্রতিটি ঠিকানায় নিজের ‘জেরক্স’ কপি পাঠানো শুরু করে। অর্থাৎ আরও কয়েকশো কম্পিউটারে আপনা থেকেই ভাইরাস ঢুকে গেল। দ্বিতীয়ত, ভাইরাস নষ্ট করে শুধু কম্পিউটারে ‘সেভ’ হয়ে থাকা গুরুপূর্ণ ফাইল। তৃতীয়ত, ভাইরাস চুরি করে কম্পিউটারে লুকিয়ে রাখা যাবতীয় জরুরি পাসওয়ার্ড ও সেগুলোকে ই-মেল করে পাঠিয়ে দেয় হ্যাকারদের কাছে।

কম্পিউটার ক্রাইমের পরিভাষা

হ্যাক: এটি খুব সময়সাপেক্ষ কিন্তু উচুঁমানের কাজ, যা ঠিক সেটিই করতে পারে, যা করতে চাওয়া হয়।
হ্যাকার: আসল মানে এমন একজন, যে কুড়াল দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করে। তবে সাইবার জগতে হ্যাকার বলতে বোঝানো হয় তাদের, যারা যেকোনো প্রোগ্রাম করা সিস্টেমের ক্ষমতার শেষ সীমা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে। আর তা করতে করতেই খুঁজে বের করতে পারে অজস্র গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ক্র্যাকার: এমন একজন যেকোনো একটি সিস্টেমের প্রতিরক্ষা ভাঙতে সক্ষম হয়। ক্র্যাকিং যেকোনো কম্পিউটার সিস্টেমের প্রতিরক্ষা ভাঙার এককথার প্রতিশব্দ। ভাইরাস।

ভিবি: ‘ভাইরাস’ হল এমন এক প্রোগ্রাম, যা অন্যের কম্পিউটারকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দেয়। এরকম হাজার হাজার ভাইরাস বা ভিবি আছে যা মূলত ই-মেলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। কিছুদিন আগে এমনই এক ভাইরাসের থমকে গিয়েছিল বিশ্বের লাখ লাখ কম্পিউটার।

সাইবার টেরোরিজম:  এটি সম্ভবত সবচেয়ে নতুন এবং ভয়ংকর চরিত্রের কম্পিউটার অপরাধ, যা ভরিয়ে তুলছে সারা পৃথিবীকেই। এক্ষেত্রে কম্পিউটার জানা যেকোনোও দুষ্কৃতিকারী বা উগ্রপন্থী শুধুমাত্র কী-বোর্ডে আঙুল রেখে অচল করে দিতে পারে যাবতীয় ব্যবস্থা, স্টক-মার্কেট থেকে ওষুধ তৈরি, গ্যাস সাপ্লাই থেকে রেল চলাচল। এমনকি, কোনো, বোমা বন্দুক ছাড়াই ঘটানো যেতে পারে মারণ বিস্ফোরণ।

সাইবার স্টকিং: সাইবার টেরোরিজম তুলনায় নিরামিষ অপরাধ, কিন্তু খুব বিরক্তিকর। 

সাইবার ও স্টকার: এককথায় বলা যেতে পারে ‘অনলাইন টিজিং’ বা অনলাইন হ্যারাশমেন্ট’। এক্ষেত্রে কোনোও একজনকে অন্য কেউ প্রথমজনের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বা তার মতের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ ই-মেলের মাধ্যমে বা অন্য পদ্ধতিতে বিরক্ত করে। অনেক সময় ব্যাপারটি আরও গুরুতর হতে পারে, যখন ‘সাইবার স্টকার’ কোনোক্রমে বাড়ির ফোন নম্বর বা ঠিকানা জেনে বাড়ি অবধি ধাওয়া করে।

সাইবার সংন্ত্রাস রুখতে

তথ্য প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর আগমন প্রযুক্তি বিশ্বে যোগ করে উন্নয়নের নতুন মাত্রা। উন্নত সব ফিচার আর মনোহরা ইন্টারফেস নিয়ে তৈরি এসব সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম ইউজারদের চোখকে ঝলসে দিলেও এরই আড়ালে রয়ে গেছে অসংখ্য সিকিউরিটি বাগ। আর তারই পথ ধরে ঢুকে পরে সাইবার সন্ত্রাস। বিগত কয়েকটি বছর ধরে হ্যাকার এবং নতুন নতুন ভাইরাসের আক্রমণ মাত্রারিক্ত ভাবে বেড়ে যাওয়ার পরেও সফটওয়্যার জায়েন্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তবে গত বছরের শেষ দিকে চীন সরকার সে দেশে সাইবার সন্ত্রাস নির্মূলে গ্রহণ করেছে কঠোর পদক্ষেপ। আইনের দ্বারা সাইবার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের এ ঠেকানোর এ পদক্ষেপকে অনেকেই যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত বলে অ্যাখায়িত করছেন।
সিআইএইচ ভাইরাস আক্রমণের প্রায় পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আমরা এখনো পর্যন্ত এর ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাবের রাহুমুক্ত হতে পারিনি। তাই এখনো ২৬ এপ্রিলের আগে প্রতিটি সিকিউরিটি ওয়েব সাইট এবং পত্রিকার পাতায় সতর্কীকরণ ম্যাসেজ প্রকাশিত হয়। আর এতেই প্রমাণিত হয় যে সাইবার সংন্ত্রাসের বিপরীতে আমরা কতখানি অসহায় ও দুর্বল প্রযুক্তির অধিকারী। 

এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইও এক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। পার্টনার গ্রুপের মতে, সাইবার সন্ত্রাস নির্মূলে এফবিআই বর্তমান প্রযুক্তি হতে পিছিয়ে রয়েছে কমপক্ষে পাঁচ বছর। সম্প্রতি এফবিআই ইনফরমেশন রিসোর্স বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর বব ডাইস স্বীকার করেন যে, দীর্ঘ ছয় বছর যাবত প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে চোখে পড়ার মতো আশানুরূপ কোনো উন্নয়ন হয়নি। এফবিআই এর ব্যবহৃত ১৩০০০টি ডেস্কটপ সিস্টেম কমপক্ষে ৪ থেকে ৮ বছর পুরাতন। অর্থাৎ বর্তমানে যেখানে সবাই ইন্টেলের পেন্টিয়াম ৪  গতির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে সেখানে এফবিআই ব্যবহার করছে পেন্টিয়াম ১ বা তারও আগের কোনো প্রসেসর। অধিকাংশ এফবিসিআই শাখার ইন্টারন্যাল নেটওয়ার্ক ৫৬ কেবিপিএস মডেম সংযুক্ত। ফলে মাঝে মাঝে 

বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ডাটা যেমন হাই রেজ্যুলেশন ছবি স্টোর করা প্রায় দুষ্কর কাজ হয়ে পড়ে। আর তাই শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইবার সন্ত্রাসীরা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার প্রমাণ এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হ্যাকিং বা ভাইরাস ছড়ানোর দায়ে খুব কমসংখ্যক ব্যক্তিকেই শনাক্ত করা গেছে। আর তাদের বেশির ভাগই নিজে থেকে কৃতকর্মের দায় স্বীকার করাতেই তাদের ধরা গিয়েছে। 

আমাদের মতো দেশে প্রতিরক্ষা বাহিনী অথবা পুলিশ বাহিনীতেও আইটি অবকাঠামো গঠন করা উচিত। বর্তমানে এখাতে ব্যাপকভাবে কম্পিউটারায়ন দরকার। অপরাধীদের ডাটাবেস তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষ নিরাপত্তার আওতাভুক্ত করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের এখন থেকেই ভাবতে হবে, তা’নাহলে অদূর ভবিষ্যতে সাইবার অপরাধ অথবা আরও বড় কোনো অপরাধে আমাদের অসহায়ের মতো হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে।

পাঠকের মন্তব্য


একই ধরনের লেখা, আপনার পছন্দ হতে পারে

bdjogajog