সাম্প্রতিক প্রকাশনা
দুঃখী কন্যা

বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখী কন্যা

আলতামাস পাশা

কৈশোরের বন্ধনহীন উচ্ছলতায় বন্য হরিণী তুমি। তোমার শ্যামলা মুখে সকালের রোদ্দুর খেলা করে। শুধু তোমার কথা শোনার জন্যে, এক রাজ্যহারা রাজপুত্রের অন্তহীন প্রতীক্ষা। চপল শালিকের মতো তোমার দুষ্টুমি কিন্তু তারপর.........মৌনতার প্রাচীরে বন্দি তোমার ভালোবাসা। নৈবেদ্য গানে উৎসর্গকৃত তোমার জীবন। তোমার হাসি যেন হেমন্তের ধূসর কিংকন। তোমার জলে ভেজা চোখ কখনওবা দুঃখী ঝরণা হয়ে যায়। রূপালী নদী আমি কোথাও পাবো না, যেমন পাবো না স্বপ্নের সন্ধ্যা অথবা কল্পনার বাসর।

কষ্টটাই রয়ে যায়

বিস্তারিত পড়ুন

কষ্টটাই রয়ে যায়

আলতামাস পাশা

কষ্টটাই রয়ে যায় তারপর যদি একদিন ভরা জ্যোস্নায় আমিও চলে যাই; একমাত্র তোমার হাসিকে নিশ্চয়তা ভেবে চির নবাণ্নের দেশে। সে মুহূর্তে জেনে যাবো, সব কিছুই নয়; তবে কিছু কিছু জিনিষ বড্ডো দেরীতে আসে, বড্ডো দেরীতে ধরা দেয়, হারিয়ে যায় সেও হঠাৎ করেই। শুধু কষ্টটাই থেকে যায়- আসলে কষ্টটা এভাবেই ছিল- কষ্টটা এভাবেই থাকে।

একটি কবিতার জন্য প্রার্থনা

বিস্তারিত পড়ুন

একটি কবিতার জন্য প্রার্থনা

আলতামাস পাশা

একটি কবিতার জন্য প্রার্থনা জানাই। এই বৃক্ষ, শ্যাওলা পরা দেয়াল আর শতায়ু বৃদ্ধ একটিমাত্র কবিতার জন্য কেন আমাকে এতসব শর্ত জুড়ে দেয়? সবুজ মাঠ, নীলকণ্ঠ পাখি, অবারিক জ্যোস্নালোকিত রাত তোমরা আমায় একটি কবিতা দেবে? যা আমায় আর কেউ দিল না? একটি শর্তহীন কবিতা পাবার জন্য আমাকে আর কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে? নক্ষত্র খচিত রাত, হেমন্তের কুয়াসা ঢাকা সকাল, শীতের পরিযায়ী পাখি-কার কাছে কবিতার প্রার্থনা করবো? পারমাণবিক বর্জ্যে মৃতপায় নদীগুলো কবিতার সন্ধান দিতে পারে না- কেবলই আজলা ভরে রেডিয়েশন ঢেলে দেয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনি থেকে কয়লা পোড়া বিষাক্ত সালফার ডাই অকসাইডের ধোঁয়া চারপ...

শহর যখন নিঃসঙ্গ

বিস্তারিত পড়ুন

শহর যখন নিঃসঙ্গ

আলতামাস পাশা

একে একে সবাই চলে গেছে এ শহর ছেড়ে। কেউবা গাঁয়ের বাড়ি। কেউবা প্রিয়জনের কাছে। আমি কোথাও যাইনি। কেন যাবো? কি হবে গিয়ে? গাঁয়ে বাড়ি নাই, প্রিয়জন নাই, প্রতীক্ষা নাই, আ্শাও নাই, একাকী আমি এই শহরের ছোট বাড়িতে রয়ে গেছি। উৎসবে যোগ দিতে শহর এখন খালি। রাস্তাঘাট সব নির্জন, বড় বড় বিপণী বিতানগুলো বন্ধ। এই শহর আবার ভরে যাবে মানুষের কোলাহলে। গাঁ থেকে ফিরে আসবে সবাই। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দু’চোখ জলে ভরে আসবে। শুধু আমার চোখদুটি চৈত্র্যেও খরার মতো শুকনো থেকে যাবে।

স্বপ্ন ভঙ্গ

বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্ন ভঙ্গ

আলতামাস পাশা

তোমার হাতের ফুল ঝরে পড়ার আগে আমি স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্টে গুমড়ে কেঁদে উঠলাম। হাঁটতে গিয়ে পাথরে পা লেগে উল্টে পড়লাম, উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলাম পাথরে খোদাই করা তোমার নাম। অমানুষের মতো তোমাকে ভুলে যেতে চেয়ে নিজের মনকে করলাম ক্ষত-বিক্ষত অথচ আমার বুকের নিবিড়তম স্থানে রক্ত আখরে লেখা তোমার নাম, এ কথাটি কেমন করে ভুলে ছিলাম!

bdjogajog